ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রশিবপুরা গ্রামের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ দুই শিশু ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন, রশিবপুরা গ্রামের ছিদ্দিক মুন্সীর ছেলে ইসমাইল মুন্সি (৪)এবং আসাদ মুন্সি ছেলে ইয়াসিন মুন্সি(৩)নামে রবিবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই শিশু শরীরে সব অঙ্গে পুড়ে যায়। আহত অবস্থায় তাদেরকে ভাঙ্গা হাসপাতাল এর পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
সেখানে দুই শিশু বাচ্চা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রাত ৭ টার দিকে ইসমাইল মুন্সি ও ২ টায় ইয়াসিন মুন্সি এঁরা দুই জনেই আপন ভাতিজা মৃত্যু হয়েছে। এবিষয় অগ্নিদগ্ধ শিশুদের চাচা উজ্জ্বল হোসেন জানান, ইয়াসিন ও ইসমাইল রবিবার বেলা ১১টা দিকে রান্না ঘরে শিশু ২টি খেলতে গেলে।এর অভিভাবক বাড়িতে না থাকায় তারা কিছু পাটের অংশ খড়ি রান্নার চুলার মধ্যে দিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাটখড়ির বেড়ায় আগুন লেগে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। তখন দুই শিশু ভয় পেয়ে রান্নাঘরের পাশে একটি গোসলখানায় আশ্রয় নেয়।
রান্না ঘর পুড়ে যাওয়ার পর গোসলখানায় আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে আগুনের লেলিহান শিখা রান্না ঘর ও গোসলখানা সহ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসী আগুন নিভাতে চেষ্টা করলেও তখনো জানতো না দুই শিশু বাথরুমে আটকা পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ আসার পর শিশু দুটির আর্তচিৎকার শুনতে পেয়ে লোকজন ছুটে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ দুই শিশুকে ভাঙ্গা হাসপাতাল ভর্তি করে। সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৭টার দিকে এক জন ও রাত ২টার দিকে শিশু দুইটির মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে ওই গ্রামের বাসিন্দা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ ইদ্রিস আলী জানান, অগ্নিদগ্ধ শিশু দুটিকে উদ্ধার করে প্রথম ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ঢাকা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মৌলি চৌধুরী জানান, অগ্নিদগ্ধ ইয়াসিনের ৬৮ ভাগ এবং ইসমাইল ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়ে ছিল।