দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ২নং ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া নামক এলাকায় নিহারঞ্জন (৮০) নামের এক ব্যক্তিকে পেট্রোলের আগুনে দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করার গুঞ্জন উঠেছে তার নাতি রুপম রায়ের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) দাদুর কাছে মোবাইল কিনতে টাকা চাইলে দাদু টাকা না দেওয়ায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দাদু- নাতি হাতাহাতি হয়। এসময় নাতি তন্ময় রায় রুপম রাগান্বিত হয়ে মোটরসাইকেল থেকে পেট্রোল বের করে তার দাদুর গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। সে সময় নিহা রঞ্জন চিৎকার করায় পরিবারে লোকজন বুঝতে পেরে নিহা রঞ্জনকে (৮০) নীলমাফারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় সেখানেও অবস্থা বেগতিক দেখে জরুরী ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় ২৪ তারিখ মঙ্গলবার বিকেলে মৃত্যু বরণ করেন।
খবর পেয়ে সরেজমিনে ঘটনা স্থলে গিয়ে ভিকটিমের বাড়িতে অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও অভিযুক্ত তন্ময় রায় রুপমকে খুজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রায়হান মেম্বারের কাছে ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি পুলিশ এবং এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যাই গিয়ে জানতে পারি যে দাদু নাতির মধ্যে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাতি তন্ময় রায় রুপম তার দাদুর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং তার পরিবারের লোকদের কাছে জানতে পারি নিহারঞ্জনকে দগ্ধ অবস্থায় নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে আজকে খবর পাইলাম যে তিনি ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন।
খানসামা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজমুল হকের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনার সুরতহাল প্রতিবেদন সংগ্রহ করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।