ডেস্ক রিপোর্ট
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা অন্য বিরোধী দলগুলোর ডাকা তৃতীয় দফায় দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। যা চলবে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত।
পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও আলাদাভাবে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির এই যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এলডিপি, লেবার পার্টিসহ সমমনা দলগুলোও পৃথকভাবে এই ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়।
এদিকে বিরোধী দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। রাজধানীসহ সারাদেশে অতিরিক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দূরপাল্লার গাড়িতে দেওয়া হচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা।
অবরোধে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মালিক সমিতি বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখার ঘোষণা দিলেও যাত্রী সংকটে দূরপাল্লার বাস চলছে কম। রাজধানীতেও যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম।
টানা প্রায় ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির সামনে এখন আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। সরকারের ‘দমন-পীড়নে’ দলের নেতাকর্মীরা বিপর্যস্ত হলেও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চায় দলটি। নির্বাচন পর্যন্ত এমনকি আবারও একতরফা নির্বাচন করলে সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনের পরেও আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
তবে দলটি হরতাল-অবরোধের বাইরেও কঠোর আর কী কর্মসূচি দেওয়া যেতে পারে সেটা নিয়ে ভাবছে। এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতা যারা কারাগারের বাইরে আছেন তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই বিএনপি ভিন্ন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা দিতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন দলটির নেতারা।