কলম্বিয়া থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা সব পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে কলম্বিয়াও।
তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে এই শুল্ক ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এ ছাড়া কলম্বিয়ার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা, কাস্টমস পরীক্ষার কঠোরতা এবং জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে তাদের কার্গোতে অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে এই শুল্ক ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এ ছাড়া কলম্বিয়ার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা, কাস্টমস পরীক্ষার কঠোরতা এবং জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে তাদের কার্গোতে অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, কলম্বিয়া সরকার বহিষ্কার করা অভিবাসী বহনকারী দুটি বিমান প্রত্যাখ্যান করায় কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে শুল্ক, ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (২৬ জানুয়ারি) ট্রাম্প বলেন, এই পদক্ষেপগুলো জরুরি। কারণ, কলোম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ‘ঝুঁকিতে’ ফেলে দিয়েছে।
ট্রাম্প তার সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশালে লেখেন। এই পদক্ষেপগুলো শুরু মাত্র। যে অপরাধীদের তারা যুক্তরাষ্ট্রে ঠেলে দিয়েছে, তাদের ফেরত নিতে তাদের আইনগত দায়িত্ব আমরা কলম্বিয়ান সরকারকে লঙ্ঘন করতে দেবো না।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন যতক্ষণ পর্যন্ত না একটা পদ্ধতি তৈরি করছে যেখানে অভিবাসীদের সাথে ‘সম্মান’ দিয়ে আচরণ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তার সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা অভিবাসী বহনকারী বিমান গ্রহণ করবে না।
ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, পেট্রো সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া দুটো পোস্টে তার ঘোষণা দেন, যাদের একটিতে একটি নিউজ ভিডিও ছিল, যেখানে ব্রাজিলে পাঠানো অভিবাসীদের বিমান বন্দরের টারম্যাকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিহিত অবস্থায় হাঁটতে দেখা যায়।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, একজন অভিবাসী অপরাধী নয় এবং একজন মানুষের যে সম্মান প্রাপ্য, তাদের সাথে সেরকম সম্মানের সাথে আচরণ করতে হবে। সেজন্য আমি কলম্বিয়ান আভিবাসী বহনকারী যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান ফেরত পাঠাই।
তবে কলম্বিয়ায় ফেরত পাঠানোর জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, তা নিয়ে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রশ্নের জবাব যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তাৎক্ষণিকভাবে দেয়নি বলে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কলম্বিয়া ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৪৭৫টি অভিবাসী বহনকারী বিমান গ্রহণ করে। ফ্লাইট পরিসংখ্যান সংগ্রহকারী সংস্থা উইটনেস অ্যাট দ্য বর্ডার-এর তথ্য অনুযায়ী, সংখ্যা তালিকায় কলম্বিয়া পঞ্চম, তাদের আগে রয়েছে গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, মেক্সিকো এবং এল সালভাদর।