চান্দলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উমর ফারুকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে শিদলাই ইউনিয়নের ভিডিও ধারণকারী রাশেদ খান ও ড্রেজার শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, মাটি কাটার চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় চেয়ারম্যান উমর ফারুক তার ইউনিয়নের চৌকিদার ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে শিদলাই ইউনিয়নের কুড়ের পুল ব্রিজের কাছে অতর্কিত হামলা চালান। এ ঘটনায় চান্দলা ইউনিয়নের বাসিন্দা রাশেদ খান ভিডিও ধারণকারী হামলার শিকার হন। তিনি ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে তার ওপর আক্রমণ করা হয় এবং ড্রেজার চালকসহ শ্রমিকদের মারধর করা হয়। হামলার পর রাশেদ খানকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।
এছাড়া, ড্রেজারের লেবার কামরুলকে চেয়ারম্যানের নির্দেশে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে শিদলাই ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ প্রতিবাদ জানিয়ে কামরুল এবং রাশেদ খানকে উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান উমর ফারুক প্রায়ই প্রভাব খাটিয়ে চাঁদা দাবি করেন এবং তার বাহিনী নিয়ে বিভিন্ন অন্যায় কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন। এমনকি, মাদকাসক্ত ও দুর্নীতিপরায়ণ আচরণের জন্য তিনি স্থানীয়দের নিকট কুখ্যাত একজন খারাপ মানুষ হিসাবে পরিচিত বটে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান উমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী রাশেদ খান ও কামরুলসহ শিদলাই ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ব্রাম্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এই বিষয় টি আমি আপনার থেকে শুনলাম। তবে কেউ যদি ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটেন, তিনি আইন ভঙ্গ করেছেন এবং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রত্যেক ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান এবং গ্রাম পুলিশকে মাটি কাটা বিষয়ক ইউনিয়ন কমিটি কে সাথে নিয়ে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে ফসলি জমি, রাস্তা -ঘাট, আবাসিক এলাকা রক্ষা করার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তবে আজকের এই ঘটনাটি আমি আপনার থেকে শুনলাম। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে