স্টাফ রিপোর্টার আর জে নুরনবী ইসলাম
গত চার দিন থেকে হঠাৎ করেই ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত জেঁকে বসেছে সারা দেশে। লালমনিরহাট জেলার অবস্থাও একই রকম। রোদের দেখা মেলে না দিনের কোন সময়।
হতদরিদ্র অনেকে মোটা কাপড়ের অভাবে কাজে যেতে পারে না। আবার অনেকে বিকাল হলেই বাড়ি থেকে আর বাইরে বের হচ্ছে না। এই কনকনে শীতের মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম কাকিনা মহিষামুরি আশ্রয় প্রকল্পে প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আহমেদ সহ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আল আমিন (বাবু) উপস্থিত ছিলেন। গভীর রাতে কম্বল পেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী এসাবানু (৯৫) বলেন, আগের বারের চেয়ে, এবার ঠাণ্ডা খুব বেশি পড়ছে। রাত হইলে কনকনে ঠাণ্ডা পরে ঠাণ্ডার কাপড় নাই বলে আগুন পোহাই কাপড় কিনার টাহাও নাই খুব কষ্টে দিন যায়। এত দিন এই শীতে অনেক কষ্ট করি আছি।
আমাগোর ইউএনও স্যার একটা কম্বল দিয়ে গেছে। এই কম্বল আমার খুব দরকার ছিল। আল্লাহ ইউএনওকে অনেক দিন বাচায় রাখুক। কম্বল পেয়ে মহিষামুড়ি গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আরজিনা (৬০) মুখে স্বস্তির হাসি দেখা গেল। তিনি বলেন, আবাসনে থাকি আবাসনের ঘর নতুন কইরা দিবো তাই পুরান ঘর ভাংছে এই জন্য বাইরে থাকি।
এই জাড়ে একখান কম্বলের জন্য অনেকের কাছে গেছি। কেউ দেয় নাই। আমাগের ইউএনও আসি দিয়ে গেছে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে।