ডেস্ক রিপোর্ট
সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে আওয়ামী লীগ এক চুলও নড়বে না। জনগণ যতদিন সঙ্গে আছে ততদিন বিএনপির কোনো বার্তা বা আলটিমেটামে কাজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিএনপি ঢাকায় ক্যাডার আনছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্যাডার ঢাকায় আসছে। নাশকতার চেষ্টা করবে। নাশকতার সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আওয়ামী লীগ।
দেশি-বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে নির্বাচন হবে এবং এ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগকে কীসের শেষ বার্তা দিতে চান? ক্ষমতা থেকে নাকি দুনিয়া থেকে চলে যাওয়া? ১৫ বছর চলে গেছে, তাদের মরা গাঙ্গে জোয়ার নেই। খালেদা জিয়ার জন্য মির্জা ফখরুলের কোনো আন্দোলনের নজির এ পর্যন্ত নেই। লন্ডনের টাকায় গরমে গরম বক্তব্য দিচ্ছেন ফখরুল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যত দিন শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে, তত দিন কোনো বার্তা ও আলটিমেটাম দিয়ে লাভ হবে না। সংবিধান থেকে একচুলও সরবে না সরকার। আওয়ামী লীগ জনগণ ও সংবিধানের ওপর নির্ভরশীল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশি-বিদেশিদের পরামর্শ নেওয়া হবে কিন্তু সংবিধানের বাইরে নির্বাচন নয়। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার সবকিছু আওয়ামী লীগ করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ পুরো পৃথিবীকে দেখিয়ে দেবে গণতন্ত্রের আদর্শই বাংলাদেশ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ’৭৫-এর খুনিদের সঙ্গেই রাজনীতি করতে হয়, সেটাই আওয়ামী লীগের দুর্ভাগ্য। এ দেশের খুনের রাজনীতি শুরু করেছে জিয়া। ১৫ আগস্টের উদ্যোক্তা জিয়া আর ২১ আগস্টের উদ্যোক্তা খালেদা-তারেক।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেই। তিনি নির্বাহী ক্ষমতা বলে বাসায় থেকে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, সদস্য শাহাবউদ্দিন ফরাজি, কবি তারিক সুজাত, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
পরে মেধাবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে চেক ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।