এম,সাইদুর রহমান-ক্রাইম রিপোর্টা:
ডা. জোবায়ের হোসেন ওরফে রাসেল। প্রার্থী হয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। প্রতীক পেয়েছেন টেলিভিশন। অথচ নিজের ভোটটিও নিজের প্রতীকে না দিয়ে দিয়েছেন নৌকা প্রতীকে।
নৌকা প্রতীকে সিল মারা এমন একটি ব্যালট পেপার হাতে নিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে নিজেই পোষ্ট করেছেন টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী রাসেল। এ ঘটনায় হাস্যরসের পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন ভোটার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ বাউফল আসনে প্রার্থী হয়েছেন চারজন।
এর মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত আ স ম ফিরোজ নৌকা প্রতীক, জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. মহসিন হাওলাদার লাঙ্গল প্রতীক, তৃনমূল বিএনপি মনোনীত মাহবুবুল আলম সোনালী আঁশ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ মনোনীত মো. জোবায়ের হোসেন রাসেল টেলিভিশন প্রতীক। নির্বাচনের শুরুতেই নৌকা প্রতীক ও টেলিভিশন প্রতীক ছাড়া অন্য কোন প্রতীকের তেমন কোন প্রচার প্রচারনা লক্ষ্য করা না গেলেও নির্বাচনের শেষের দিকে লাঙ্গল ও সোনালী আঁশের দায়সারা প্রচারনা দেখা গেছে।
টেলিভিশনের জোবায়ের রাসেল প্রচার প্রচারনার জন্য নিজেকে অনিরাপদ ভেবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা দাবি পর্যন্ত করেছিলেন। সে প্রেক্ষিতে তিনি পুলিশ নিয়ে প্রচার প্রচারনাও করে ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ভাবতে পারেন, টেলিভিশন মার্কায় ভোট দিলাম আমি, কিন্তু যাকে দেখে ভোট দিলাম সে কিনা ভোট দেয় নৌকায়। একে কি বলা যায়? টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী হয়ে নৌকায় ভোট দিলেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জোবায়ের হোসেন রাসেল বলেন, আমি তো নৌকার লোক। আমার রক্তে আওয়ামীলীগ।
আমি নির্বাচন করেছি দেশের স্বার্থে। এমন সুন্দর নির্বাচন তিনি আর কখনো দেখেননি বলে দাবী করেন। উল্লেখ্য পটুয়াখালী-২ বাউফল আসনে মোট কেন্দ্র ১১৪। নৌকা পেয়েছেন- ১লক্ষ ২৪ হাজার ২শত ৯২ ভোট, সোনালী আঁশ ১হাজার ২শত ৯৫ ভোট, টেলিভিশন ২হাজার ২শত ৩১ ভোট ও লাঙ্গল পেয়েছেন ২ হাজার ৯শত ৫১ ভোট। মোট ভোটার ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩শত ২৪জন।
এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।