নেত্রকোনা প্রতিনিধি
৪৭ এর দেশ ভাগের পর থেকে পাকিস্তান মুসলিম লীগের সামন্তযোগিয় রাজনীতির একচেটিয়া আধিপত্য, স্বৈরাচারী ও কতৃত্ববাদী শাসন ও শোষনের যাতাকল থেকে পূর্ব বাংলার মানুষের মুক্তির লক্ষে পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নেয়া তৎকালিন ছাত্র ও যুব নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নব গঠিত পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের সামন্তযোগীয় কতৃত্ববাদী শাসন ও শোষনের ছেদ ঘটিয়ে অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মৌলানা ভাসানী, শামছুল হক ও শেখ মুজিবুর রহমান সহ বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগ থেকে বেরিয়ে আসা কতিপয় প্রগতিশীল মুসলিম লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৯ সালে ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলা হয় ।
পরবর্তীতে এই সংগঠনটি ‘৫২ য়ের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘৭১য়ের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত গড়ে উঠা গণ আন্দোলন পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসন শোষনের বিরুদ্ধে বাঙ্গালী অধ্যোসিত পূর্ব বাংলার বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীর স্বদেশীকতা ও স্বজাত্যবোধ জাগ্রত করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূচনা করে।
‘৫৪ য়ের নির্বাচন কে সামনে রেখে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগ অসাম্প্রদায়িক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাঙ্গালির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের যাত্রা শুরু করে অনেক রক্তের বিনিময়ে ‘৭১য়ের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার সোনালী সূর্যটা ছিনিয়ে আনে। ” ২১ থেকে ৭১ বই এর একটি প্রবন্ধের অংশ বিশেষ।