মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি. এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক গ্রাহক। সোমবার (১১ মার্চ) সকালে দৈনিক বাংলার আলো অফিস রুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তভোগী কেশব চন্দ্র রায়। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফাড়াবাড়ি ইয়নিয়নের একজন বাসিন্দা।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমি প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি. ঠাকুরগাঁও অফিসের একজন গ্রাহক। আমার পলেসি নং – ১০৪৭৪৮০-৮, ১০ বছর পলিসি মেয়াদ ২০২২ সালে শেষ হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আমি ঠাকুরগাঁও অফিসে গিয়ে আমার বিমা দলিল ও রিসি ভকপিগুলো জমা দিয়ে বিমা সারেন্ডার করি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান ২০২৪ সালেও আমি আমার জমাকৃত টাকা পাচ্ছি না। আজকে কালকে করতে করতে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে এই বিমা কোম্পানির ঠাকুরগাঁও শাখার কর্মকর্তারা। বর্তমানে আমি শারিরীকভাবে খুবই অসুস্থ। হার্ট এবং প্রেসারের সমস্যায় আমি রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি।
ডাক্তার আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি বারবার ঠাকুরগাঁও প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স অফিসে ধরনা দিয়েও আমার জমাকৃত টাকা পাচ্ছি না। এমনকি আমি আমার জমাকৃত ৪ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা কোম্পানির এমডি বরাবর লিখিত আবেদনও করেছি। কিন্তু তাতেও কোন প্রতিকার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংবাদকর্মীদের শরনাপন্ন হয়েছি। তিনি আরো জানান, আমি যখন বিমাপত্র খুলি তখন যে কর্মিরা ছিল এখন সে কর্মীরা নেই। তাই আমাকে ঐ অফিসে কেউ পাত্তা দিচ্ছে না।
কেউ আমার কথা শুনছেনা। প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি. ঠাকুরগাঁও শাখার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছি। আমার কষ্টের জমাকৃত টাকা ফেরতের জন্য প্রশাসন সহ সকলের দৃষ্টি কামনা করেন ভূক্তভোগী কেশব চন্দ্র রায়। সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।