মোঃ আজিজুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা বাগবাটীতে দুই বন্ধুকে (জোড়া খুন) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মেরাজুল ইসলামসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃতার হলেন, মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতী গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে মেরাজুল ইসলাম (২৬), একই গ্রামের বেলায়েত খানের ছেলে লোকমান খান (২৮), চকচন্ডি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে সবুজ (৩১) ও একই গ্রামের ইমান আলীর ছেলে বাবু শেখ (৩০)।
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে নিহত আলামিনের বড় ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেনসিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকা ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতী গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে আলামিনের পরিবারের সঙ্গে একই গ্রামের হায়দার আলীর পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে গত গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে আলআমিন ও তার বন্ধু আল-আমিন শেখের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলায় চালায় হায়দার আলীর লোকজন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আল আমিনের। গুরুতর আহত হন তার বন্ধু আল-আমিন শেখ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহত আলামিনের বড় ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
নিহতরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতী গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে আলামিন (৩৫) ও তার বন্ধু একই গ্রামের ঠান্ডু শেখের ছেলে আল-আমিন শেখ (৩৫)।