মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
স্বামীর রেখে যাওয়া ব্যাংক এর টাকা সন্তানকে না দেওয়ায় মাকে নির্যাতন। প্রতিবাদে সন্তানের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অসহায় এক বিধবা মা।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে শহরের সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের স্থানীয় বাংলার আলো পত্রিকা’র কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মা সাবেরা বেগম বলেন, আমি একজন বয়স্কা মহিলা।
আমার স্বামী পাট কলে চাকুরী করার সুবাদে মৃত্যুর আগে সে আমার নামে সোনালী ব্যাংকে ১২ লক্ষ টাকা রেখে যায়। আমার বড় ছেলে রাজিব (৩৩) দীর্ঘদিন ধরেই সে টাকা নেয়ার জন্যে আমাকে প্রথমে হুমকি ধামকি দেয় এবং সম্প্রতি সে আমাকে শারিরীক নির্যাতন করছে।
যার কারনে গত কয়েকদিন আগেও আমাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এতেও সে ক্ষান্ত না হয়ে আমার ছোট ছেলে ইমরানের নামে মিথ্যে মামলা দেয়। বড় ছেলে রাজিব জেলা আইনজীবি সমিতিতে পিয়ন পদে চাকুরী করায় আমি ও আমার ছোট ছেলে আইনজীবি সমিতি বা পুলিশি কোন সহায়তা পাইনি।
এ অবস্থায় আমি সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছি। আমি ও আমার ছোট ছেলে অসহায় জীবন যাপন করছি। আমি একজন মা হয়ে দেশের মা প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করছি। না হলে আমাদের বাঁচার কোন পথই আর খোলা দেখছি না।
অন্যদিকে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসে ছোট ভাই ইমরান ফরিদ বলেন, আমার মা সহ আমি বর্তমানে খুব অসহায় হয়ে পড়েছি। আমার বাবা, আমার মায়ের নামে ১২ লক্ষ টাকা সোনালি ব্যাংকে জমা রেখেছিল। সে টাকা নেওয়ার জন্য আমার বড় ভাই আমার মাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে এমনকি অনেকবার মারধোরও করেছে।
আমি প্রতিবাদ করলে সে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি একজন ছাত্র, তার দেওয়া মামলার জামিনের জন্য ঠাকুরগাঁওয়ের কোন উকিল আমার পক্ষে মামলা নিচ্ছেনা। সুবিচারের জন্য আমি মাকে নিয়ে থানাসহ কোর্টের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছি।
কিন্তু কেউ আমাদের কথা শুনছে না। আমার বড় ভাই জেলা আইনজীবি সমিতিতে চাকরি করে এই ক্ষমতায় আমার মায়ের ১২ লক্ষ টাকা হাতানোর জন্য সে আমাদের প্রতি যে অন্যায় অত্যাচার করছে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।