রবিন চৌধুরী রাসেল বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলাধীন ৯নং যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন ও তার দলীয় সন্ত্রাসীরা একই এলাকার নুর আলমের নিকট ০৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং তার বাড়িতে হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর করে, আলমারি ভেঙে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয় এবং গরু, ছাগল চুরি করে নিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে নুর আলম ও তার অপর দুই ভাইকে দস্যুর কায়দায় তুলে নিয়ে গিয়ে গোপন করে রাখে। পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিক স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অন্যান্য মেম্বারদের অবহিত করেন। পরে পরিবার ও স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে দুজনকেই উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে নুুর আলমের ভাই এরশাদুল হক কুড়িগ্রাম সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
যার মামলা নং-১৪, তারিখ- ০৮.১১.২২ইং, জি.আর নং-৪৬৬/২২ (কুড়ি:) মামলা দায়ের করলে তাৎক্ষনিক পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে মামলার মূল আসামী আনোয়ার হোসেন সহ আরও কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ১৪৩/১৪৪/৪৪৮/৩২৩/৩৬৫/৩৪২/৪২৭/৫০৬/১১৪ ধারার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। তৎপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান অত্র মামলার মূল আসামি আনোয়ার হোসেন সহ সকল আসামীদের বিরুদ্ধে উল্লিখিত ধারায় অভিযোগ আমলে গ্রহণ করেন। অত্র মামলার মূল আসামি আনোয়ার হোসেন যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ০৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪ (১) অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ বরাবর সুপারিশ করেন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলাধীন যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ০৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন কর্তৃক সংগঠিত অপরাধ মূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের স্মারক নং-৪৬.০০.৪৯০০.০১৭.২৭.০০৪.২১-১০৩৬, তারিখ-১২.১০.২০২৩ইং মোতাবেক উক্ত মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪(১) অনুযায়ী আনোয়ার হোসেনকে, যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
যাত্রাপুর বাজার সংলগ্ন নৌকাঘাটের সবুর, আয়নাল, সামাদকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন যে, মেম্বাররা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবার জনগনেরই ক্ষতি করেন। এই মেম্বার এর আগেও সাধারণ জনগণের নিকট বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে এবং নদী ভাঙ্গা লোকজনদের ঘর দেয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছিলেন। এবার এই মেম্বারের উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে। এতে আমরা অখুশি।