শাহাদুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
শুধু ঠা-াই নয় গরম-ঠা-ার সমন্বয়ে নিউমোনিয়া পর্যন্ত গড়াতে পারে আর সে ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে ঠা-াজনিত নিউমোনিয়া ও রোটাভাইরাসজনিত কারণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে সেসকল রোগীদের চাপ সামালাতে একপ্রকার নাজেহাল অবস্থার তৈরি হয়েছে।
তবে, আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু রোগী। এদিকে, কলেরা স্যালাইনের সংকট রয়েছে হাসপাতালে। ফার্মেসিগুলো তাদের চাহিদা অনুযায়ী কলেরা স্যালাইন পাচ্ছে না ওষুধ প্রতিনিধিদের কাছ থেকে।
বেড না পেয়ে কিন্তু অনেকেই হাসপাতালের মেঝেতে শুয়েই চিকিৎসা নিচ্ছেন ।
এ বিষয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দু’শতাধিক শিশু অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ রোহীরাই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। অপরদিকে, গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ আড়াইশ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া প্রতিদিন বহির্বিভাগ থেকে ডায়রিয়া ও আবহাওয়াজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। আবার কেউ কেউ অসুস্থতার ভাগ বেশি থাকলে তারা হাসাতালেই ভর্তি হয়ে যাচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আভা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী মানিকুজ্জামান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় কলেরা স্যালাইনের চরম সংকট রয়েছে। আমরা চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে স্যালাইন সরবরাহ পাচ্ছি না।
তবে সদর হাসপাতালের স্টোরকিপার হাদিউর রহমান হাদী জানান, হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও কলেরা স্যালাইন ও খাওয়ার স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক বলেন, সদর হাসপাতালে রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। আবার আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে অধিকাংশ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। রোটা ভাইরাস অত্যন্ত মারাত্মক রোগ। এটি শিশুর মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোজায় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার ফলেও অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১ হাজারেও বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।