মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,বিশেষ প্রতিনিধি
একাধারে লিরিকিস্ট, নাট্যকার ও পরিচালক মিলন চিশতীর শুরু টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে। টেলিভিশনে তিনি বিয়ের কেরামতি, মেঘের ভেলা, বিয়ের দাবি, ধোকাবাজ বউ, সারপ্রাইজ বিয়ে -এর মতো জনপ্রিয় অনেক কাজ উপহার দিয়েছেন। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকে কথা বলেছেন তিনি।
এখন তো সবাই ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য কাজ করছে। আপনার মনোযোগও কি সেদিকেই? বিবর্তন জীবনের একটা অংশ। এটাকে মেনে নিতেই হবে। কোনো কিছু সারা জীবন একরকম থাকে না। তবে আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা সবসময় পুরোনোকে ভালো আর নতুনকে খারাপ বলি। কিন্তু বিষয়টা এমন নয়। সব কিছুরই একটা ভালো দিক আছে। আমাদের সেটাকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আমিও বর্তমান দর্শক চাহিদার সঙ্গে আমার সিগনেচার স্টাইল মিলিয়েই কাজ করার চেষ্টা করছি। * বর্তমানে কী নিয়ে ব্যস্ত?
নাটকের শুটিং! যেহেতু আমি নাটকের মানুষ নাটক নিয়েই ব্যস্ত থাকি। এরই মধ্যে আমার রচনা ও পরিচালনায় ‘ডা. কদম আলি এমনি বি এস ও আদর্শ প্রেমিক’ শিরোনামে দুইটি নাটকের শুটিং এর কাজ শেষ করলাম। আরও কিছু কাজ চলমান তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য- প্রবাসীর কান্না, স্যান্ডুইস, স্মার্ট ঘটক সহ বেশ কয়েকটি নাটকের প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে।
শীঘ্রই শুটিংয়ে যাবো। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে চিশতী বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই ফিল্ম নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে, কিন্তু ব্যাটে-বলে না মেলায় হয়ে উঠছিল না। শেষ পর্যন্ত এবার ফিল্ম নির্মাণ করতে যাচ্ছি।’ কবে নাগাদ কাজ শুরু করবেন জানতে চাইলে চিশতী বলেন, ‘আপাতত প্রি-প্রোডাকশনের কাজ গোছাচ্ছি। সবকিছু ঠিক করে শিগগিরই শুটিংয়ে নেমে পড়ব। ‘গল্পের নাম বা কলাকুশলীর নাম এখনই বলতে চাই না। কারণ একটু নিরিবিলিতে কাজ করতেই আমি পছন্দ করি। আমি গত দুই বছর ধরেই এটার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম!
বিলম্বে ফিল্ম নির্মাণ করতে যাওয়ার কারণও জানালেন চিশতী- “গত দুই বছর ধরে অনেকগুলো গল্প লক করেছি। তারপর কয়দিন পরে মনে হয়েছে- না, এই গল্পটা না আরো ভালো গল্প দরকার! বলেই আবার গল্পের নতুন ভাবনা। এইভাবে বহু গল্পের সম্ভাবনাকে খুন করে ফাইনালি একটা গল্পে এসে মন মজালো, মনে হলো এই গল্পটা আমার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ!
নতুন চ্যালেঞ্জ অনেকটা নতুন করে কারও প্রেমে পড়ার মতোই। প্রেমে পড়ার অনুভূতি না হলে কাজে স্বার্থকতা কি?” ফিল্ম নির্মাণের ঘোষণা দিলেও এখনই কলাকুশলী বা প্রোডাকশনের সিক্রেটগুলো ওপেন করতে চাচ্ছেন না চিশতী। তিনি বলেন, খুবশীঘ্রই জানাব। শুধু এইটুকু বলতে পারি প্রায় তিন মাস ধরে আমরা মন-প্রাণ লাগিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি এই কাজটার জন্য!