আব্দুর রাজ্জাক স্টাফ রিপোর্টার:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নে এক বৃদ্ধের বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের কাছে জানা যায় গত মে মাসের ২৯ তারিখ রাত প্রায় ১ টার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় প্রচুর ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়।
উপজেলার আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নের খামার আন্ধারিঝাড় গ্রামে হাওয়া বেগম (৬৫) স্বামী মৃত জয়নাল আবেদিনের বাড়িতে ওই দিন রাতে হাওয়া বেগম, তার প্রতিবন্ধি মেয়ে ও নাতি পুতিসহ ঘুমালে রাত ১ টার দিকে প্রচন্ড বাতাস ও ঝড় শুরু হয়।ওই সময় বাড়ির সবার ঘুম ভাঙ্গলে দেখে ঘরের টিনের চাল নেই আছে শুধু বেড়া।
তাৎক্ষণিকভাবে চিল্লা চিল্লি করে হাওয়া বেগম সবাইকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় যায়।চিল্লা চিল্লি শুনে স্থানীয় আয়নাল হক,আছর আলী,আহমেদ আলী,ফরিদা বেগম এসে দেখতে পায় হাওয়া বেগমের দুই ঘরের চাল নেই বাতাসে উরিয়ে নিয়ে গিয়ে লন্ড ভন্ড করে ফেলে রেখেছে পাশে।বড় বড় ফলের গাছ বাড়ির উঠানে পরে আছে।স্থানীয়রা আরও বলেন হাওয়া বেগমের একটি মেয়ে স্বামী পরিত্যক্ত নাম প্রতিবন্ধী জয়নব বেগম (৩৫) সহ আর একটি ছোটো নাবালক শিশু ওই ঘরে ছিলো।
এদের বড় ধরনের কোনো বিপদ হয়নি তারা খুব কষ্টে জীবন যাপন করছে তার মা হাওয়া বেগমের সাথে।তারা সমাজের বৃত্তবান ও সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। ভুক্তভোগী হাওয়া বেগম বলেন আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি আমার প্রতিবন্দী মেয়ে নাতি পুতিসহ এই বাড়িতে খুব কষ্ট করে থাকি। তার মধ্যেই আমার দুইটা ঘর একটা ৩৪ হাত আর একটা ২৫ হাত বাতাসে নিয়ে গেলো আমি এখন কই থাকমু আমার বেটি টারে নিয়া।
ঘরের দলিল পাতি নাতনী এইচএসসি পরিক্ষা দিবো তার বই খাতা পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। কেউ জদি আমার ঘর গুলো আর নাতনির বই কিনে দিতো আর ঘর ঠিক করে দিতো তাইলে নাতনীও সুবিধা হতো পড়া আর আমি পোলাপাইন নিয়ে একটু আরামে থাকতে পারতাম।
উক্ত ইউনিয়নের ২ নং ওয়াড মেম্বার নজরুল ইসলাম ও উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডল বলেন আমাদের কাছে এরকম কোনো বরাদ্দ নাই তবে আমরা তাদেরকে ছবি তুলে একটা আবেদন আনতে বলেছি আমরা সুপারিশ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পাঠাবো।
এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।