মোঃ সবুজ স্টাফ রিপোর্টার
বুধবার (৭ আগস্ট) ছুটির আবেদনের পর বৃহস্পতিবার তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করেন বলে জানা গেছে। দিদারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ বাণিজ্য, কারারক্ষীদের হয়রানী ও অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছিল।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা নিজ নিজ কাজে যোগ দেন। কারাসূত্রে জানা যায়, জেল সুপার দিদারুল ইসলাম আসামি ও কারারক্ষীদের জিম্মি করে অত্যাচার ও অর্থ বাণিজ্য করতেন। তার অন্যায় নির্দেশ পালন না করলে কারারক্ষীদের হয়রানি ও নির্যাতন করতেন।
ছুটির জন্য টাকা আদায় করা হতো। এছাড়া নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও ক্যান্টিন থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ অনেক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ডেপুটি জেলার মো. সোহরাব জানান, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তার বিরুদ্ধে সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তার অপসারণের দাবি করা হয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও ডিআইজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছেন।
এ অবস্থায় তিনি বুধবার স্বেচ্ছায় ১৫ দিনের ছুটিতে গেছেন। দিদারুল ইসলামের স্বেচ্ছায় ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসাইন। তবে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য দিদারুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।