দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নিয়োগ বাণিজ্য, দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জের ধরে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. মোতালেব হোসেন খান পদত্যাগ করেছেন। ১২ আগস্ট সোমবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের তোপের মুখে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি এবং ইউএনও বরাবর লিখিত পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
পদত্যাগ পত্রে অধ্যক্ষ মো. মোতালেব হোসেন খান উল্লেখ করেন, আমি দীর্ঘদিন হতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি করে আসছি, যা চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের কাছে প্রমাণসহ ধরা পড়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র এবং অত্র মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবির প্রেক্ষিতে ১২ আগস্ট আমার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। পদত্যাগের বিষয়ে কেউ আমাকে কোন প্রকার চাপ বা ভয়-ভীতি প্রয়োগ করে নাই।
মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আমির হোসেন মুরাদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দাবির মুখে অধ্যক্ষ মো. মোতালেব হোসেন খান পদত্যাগে বাধ্য হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সোহেল রানা বলেন, অধ্যক্ষ মো. মোতালেব হোসেন খানের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ তছরুপ, জোর করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি ফি আদায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা তার এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। আন্দোলন করেছেন। কিন্তু বিগত ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় তিনি বহাল তবিয়তে ছিলেন। আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের দাবির মুখে নিজের দুর্নীতির কথা স্বীকার করে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
মাদরাসার সদ্য বিদায়ী অধ্যক্ষ মো. মোতালেব হোসেন খান তার পদত্যাগের বিষয়টি স্বীকার করলেও এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান, দেওয়ানগঞ্জ কামিল স্নাতকোত্তর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোতালেব হোসেন খানের পদ্যতাগের বিষয়টি প্রথমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার কাছে থেকে মোবাইল ফোনে জেনেছি। এরপর পদত্যাগ পত্র দেখে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি।