মোঃ খান সোহেল নেত্রকোনা প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত নেত্রকোনার রমজান আলীর কবর জিয়ারত শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ (প্রিন্স) বলেছেন, ‘ছাত্র অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। আমরা এখন একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মধ্য দিয়ে হাঁটছি। কিন্তু এই পতনের মধ্যেই যে আমাদের পথ কুসুমাস্তীর্ণ বা সব বিজয় এসে গেছে, তা ভাবার কারণ নেই। কারণ, এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য প্রশাসনের মধ্য দিয়ে বা বিচার বিভাগে বা বিভিন্ন বাহিনীর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনা ভারতে বসে থেকে ষড়যন্ত্র করছেন।
আজ বিকেলে নেত্রকোনা সদর উপজেলার নন্দীপুর গ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রমজান আলীর কবর জিয়ারতের পর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন সৈয়দ এমরান সালেহ। এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক চিকিৎসক আনোয়ারুল হক, সদস্যসচিব ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম হিলালীসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতে বসে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কল্পিত কাহিনি প্রচার করেছেন। ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগ আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির, দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে এর দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে মানুষ তা বিশ্বাস করছে না। কারণ, বিএনপি কখনোই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। ইতিমধ্যে পুরো দেশে নেতা-কর্মীদের দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মন্দির, বাসাবাড়ি ও দোকানপাট রক্ষার জন্য পাহারা বসিয়েছে বিএনপি।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন মন্তব্য করে সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, ‘জয় বলছেন, তাঁর মা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি, তিনি এখনো প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, এটা শেখ হাসিনার মনোনীত রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান নিজেই বলেছেন। কিন্তু জয়ের এ কথা বলার পরই আমরা দেখলাম বিচার বিভাগের মধ্য দিয়ে একটা ক্যু করার ষড়যন্ত্র পর্যন্ত হয়েছিল। সেটা ছাত্র–জনতা নস্যাৎ করে দিয়েছেন।’