নিজস্ব প্রতিবেদক
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষির অন্তত ১২টি দপ্তরেই ‘দুর্নীতিবাজ’ হিসেবে চিহ্নিত মহাপরিচালক-চেয়ারম্যানদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে। দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত কর্মকর্তা কর্মচারীরা এসব মহাপরিচালক-চেয়ারম্যানের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে পদত্যাগ করতে চাপ দিচ্ছেন। এ কারণে এসব শীর্ষ কর্মকর্তা কেউ আত্মগোপনে, আবার কেউ স্বেচ্ছায় অবসরে যাচ্ছেন, কেউ পদত্যাগে পথ খুঁজছেন। অনেক প্রকল্প পরিচালকও ‘সেফ এক্সিট’ খুঁজছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে শীর্ষ কর্মকর্তারা আত্মগোপনে থাকলে প্রশাসনিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। যদি কাজে যোগদানের পরিবেশ না থাকে, তাহলে তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে অন্য কাউকে কাজের সুযোগ দেওয়া উচিত। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার অবসরে যাওয়ার পরও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরদিন অফিসে গেলেও এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন। পদায়ন, নিয়োগ, বদলি, কেনাকাটাসহ নানা অনিয়মের কারণে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা।
প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদুল হক ঝন্টু বলেন, ‘মহাপরিচালক সরকার পতনের পর আর অফিস করছেন না। তাকে আমরা আসার জন্য অনুরোধ করছি। তিনি অনুপস্থিত থাকায় প্রশাসনিক কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
অন্যদিকে এই মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন বেশ কিছু কর্মকর্তা। তারা অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগের দাবি জানান।
টানা আট বছর ধরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাহজাহান কবির। তার বিরুদ্ধে নিয়োগসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ কর্মকর্তাদের। এসব কারণে মহাপরিচালককে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন তারা। চাপের মুখে পদত্যাগ না করে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরের জন্য সচিবের কাছে লিখিত আবেদন জানান। যদিও পরে একটি অভিযোগ দেন মন্ত্রণালয়ে, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, কিছু কর্মকর্তা তার কাছ থেকে জোর করে অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়ালের পদত্যাগ ও শাস্তি দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।