বাবুল রহমান রবিন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন হতে ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী এবং সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী, হলদিয়া ও মুন্সিরহাট এলাকা রক্ষা প্রকল্পে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান। ফলে চলমান এ প্রকল্পটির কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী বেষ্টিত গাইবান্ধার চার উপজেলা ভাঙন প্রবণ হওয়ায় সরকার যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন হতে ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী এবং সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী, হলদিয়া ও মুন্সিরহাট এলাকা রক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করে। ঢাকার হাসান ব্রাদার্স ও বিজে কনস্ট্রাকশন প্রকল্পটির ঠিকাদার হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে কাজ শুরু করে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি সুষ্ঠুভাবে তদারকি ও দেখভালের জন্য স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইটকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তার তদারকিতে প্রকল্পের কাজ দ্রতগতিতে চলছিল।কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আলমগীর হোসেন, আলতামাস আহম্মেদ সোহাগ, আনোয়ার হোসেন, গোলাম হোসেন, বেকো, বিপুলসহ চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের একটি গ্রæপ গত ২০ আগস্ট মুন্সিরহাট প্রকল্প এলাকায় এসে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ সময় তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা অথবা কাজের অর্ধেক ছেড়ে দেওয়ার দাবি করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সুইট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরামর্শে মামলা করার প্রস্তুতি নেন। এতে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়।
শনিবার দুপুরে সাঘাটার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এসব অভিযোগ করেন। এ সময় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, বিগত সময়ে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে হেরে গেছে, তারাই তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এসব অপপ্রচার ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। তিনি প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।