ঢাকারবিবার , ২৫ আগস্ট ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অভিযোগ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন বিচার
  5. আওয়ামী লীগ
  6. আগুন
  7. আটক
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আবহাওয়া
  10. আমাদের পরিবার
  11. আরো
  12. ইতিহাস ও ঐতিহাসিক
  13. ইসলাম
  14. ইসলামী জীবন
  15. এশিয়া
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তজুমদ্দিনে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

50
admin
আগস্ট ২৫, ২০২৪ ১২:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 আবদুল মান্নান তামিম, স্টাফ রির্পোটার

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার প্রায় ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বিশাল একটা অংশ ভাঙন দেখা দিয়েছে। উজানের পানির চাপ প্রবল বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধির কারণে চাঁদপুর ইউনিয়ন দড়িচাদঁপুর,কেয়ামুল্যাহ,কাঞ্চনপুর,গুরিন্দা,চাঁচড়াও কাটাখালী এলাকায় বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙন ধরেছে।

ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও শহর রক্ষা বাঁধের জন্য নিয়োগ করা ঠিকাদারের গাফিলতিতে যে কোন মুহূর্তে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ডুকে পড়বে পানি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে প্লাবিত হতে পারে পুরো উপজেলা।

সরেজমিনে ভাঙন কবলিত এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, মেঘনা নদীর জোয়ার -ভাটায় পানির চাপ ও নিন্মচাপের প্রভাবে ঢেউ এসে আঘাত করে বেড়িবাঁধে।ফলে অধিকাংশ এলাকায় বেড়িবাঁধের দুই-তৃতীয়াংশ ভেঙে পানি ডুকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ সূত্রে জানা যায়, তজুমদ্দিনে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার শহর রক্ষা বাঁধ এবং তীর সংরক্ষণ ব্লক ও জিও ব্যাগ নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০২২ -২৬ অর্থ বছরে তজুমদ্দিনের সোনাপুর অংশে দুই কিলোমিটার ও চাঁদপুর, চাচঁড়া অংশে ৬ কিলোমিটার সহ বেতুয়া পর্যন্ত মোট ২৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ, জিও ব্যাগ,ব্লক, ড্যাম্পিং, সুইজগেট ও রাস্তা পাকা করণ প্রকল্প প্রায় ১১ শত কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে কাজ শুরু হয়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজ ধীর গতি দেখা দেয়। ফলে পানির চাপে পূর্বের বেড়িবাঁধ বেশ কিছু অংশ ভাঙনের সৃষ্টি হয়।এছাড়া কাজের ধীরগতির কারণে ইতোমধ্যে বহু পরিবারের বাড়ীঘর ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিম হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদারের লোকজন মেঘনা নদী থেকে বালি তুলছে যার কারণে ভাঙনের তীব্রতা আরো বেশি। এছাড়া বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ টিউব, জিও ব্যাগ এবং যে বালি দেওয়া হয়েছে তা সামনের নদী থেকে তোলা হয়েছে।

চাঁদপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য বশির উল্যাহ বলেন, বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দ্রুত মেরামত না করলে যে কোন সময় বেড়িবাঁধ ছিড়ে লোকালয়ে পানি ডুকে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রকল্পের ৫ নম্বর সাইড বি,জে জিও টেক্সটাইল এর সাইড ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল আহমেদ বলেন, বর্ষা মৌসুমের কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। শ্রমিক ও বালি সংকটের রয়েছে। তারপরও টিউব, জিও ব্যাগের মাধ্যমে বাঁধ সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, বেড়িবাঁধের যেই অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দিয়ে হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।