রাসেদ বিল্লাহ চিশতীঃ
নোয়াখালী সুবর্ণচরে অসহায় এক শিক্ষক পরিবারের দোকান ভিটি, বসতবাড়ি জোরপূর্বক জবর দখল, লুটপাট,পরিবারের সদস্যদের মারধরের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের হুমকি ও হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
বুধবার(১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী একরাম বাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মইন উদ্দিনের স্ত্রী তাসফিয়া বেগম বলেন, ১৯৯৫ সালে সুবর্ণচর উপজেলার ৩ নং চরক্লার্ক ইউনিয়নের সিদ্দিক মার্কেটের উত্তর পাশে হানিফ মিয়ার বাড়ির জায়গাটি স্থানীয় হাজী সেকান্তর হোসেন থেকে ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জমিতে ২০১২ সালে ১টি বিল্ডিং এবং একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। গত ৬ই আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের সাব উদ্দিনের ছেলে জিল্লুর নেতৃত্বে স্থানীয় এতিম আলীর ছেলে মাসুদ, সুমন, নুর মাওলা, রহমত উল্যাহসহ একটি সংঘবদ্ধ দল প্রকাশ্যে সিদ্দিক মার্কেটে থাকা তাদের একটি দোকান ঘরের সাটার বন্ধ করে দেয়।
এরপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র সজ্জিত হয়ে বসতবাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের দরজা জানালা ভাংচুর করে, ঘরে ডুকে ব্যাপক লুটপাট চালায়। পরিবারের সদস্যরা বাঁধা দিলে তাদেরকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। পরে এক দল ঘরের ভেতর প্রবেশ করে দোকানের ভিটা ক্রয়ের জন্য রাখা নগদ ১০ লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয় এবং ঘরের ভিতর আসবাবপত্রসহ সব ভাংচুর ও লুট করে নিয়ে যায়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বসতবাড়ি ফিরে পেতে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট আবু বকর সিদ্দীক, গৃহবধু আমেনা বেগম, জোসনা বেগম,রুমা বেগমসহ এবং জেলাসহ সুবর্ণচর উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্ম মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার অভিযুক্ত জিল্লুরের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চরজব্বর থানার ভাাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া বলেন, আমি বর্তমানে থানার বাহিরে আছি। এ ঘটনায় খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।