মোঃ বজলুর রহমান
মানিকগঞ্জ শহরের পার ঘেঁষেই ঘিওর অঞ্চল হলেও উপজেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত বড়াটিয়া ইউনিয়ন । ঘিওর উপজেলা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়ায় প্রশাসনের পদক্ষেপ একটু দেরিতেই ঘটে।
এই সুযোগে স্থানীয় দুষ্টু চক্র রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত ভাবে আক্রান্ত করে থাকে পরিবেশকে ।
১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং রাত ১টার দিকে কে বা কারা বড়টিয়া গ্রামের চন্দন ঘোষের বাড়ি খড়ের পালায় আগুন লাগিয়ে দেয় । আগুন দাউ দাউ করে প্রজ্জ্বলিত হলে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । ফায়ার সার্ভিসে কল দিলে প্রায় আঁধাঘন্টা পর ঘিওর ফায়ার সার্ভিস ইউনিট এসে উপস্থিত হয়ে প্রায় ৪৫মিনিট আগুনের সাথে যুদ্ধ করে আগুন কে পুরোপুরি নিবারণে সক্ষম হয় ।
এতে স্থানীয় সংখ্যালঘুরা অনেকটাই আতঙ্কে জীবন যাপন করছে । কেননা এ ঘটনার ১০দিন আগে স্থানীয় শ্রীকান্ত দাসের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দেয়, এতে তার একটি গোয়ালঘর ও দোকানের বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে যায় । একটি গরুর কিছু অংশ পুরলেও সঠিক সময়ে পানি ঢালার কারণে গরু ও থাকার ঘরটি রক্ষা পায় ।
তার কিছু দিন আগে একই স্থানে বরাটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশ থেকে বিল্লাল হাজী এর প্রাইভেট কার পুরানো হয় । থানায় অভিযোগ করেও বিধ্বংসকারী এই চক্রদের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না ।
আজকের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে ঘিওর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশন অফিসার মোঃ রতন আলী বলেন, রাত ০১.০৫মিনিটে আমাদের নিকট একটি নাম্বার থেকে ফোন আসে ।
সাথে সাথে বড়াটিয়ার চন্দন ঘোষের বাড়ি উপস্থিত হই । সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কারণে আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে । আরেকটু দেরী হলে আগুন পাশের বাড়ি সহ বসতবাড়ি ধ্বংস করে ফেলত । তাদের তথ্য অনুসারে ক্রয় কৃত ৩৫ হাজার টাকার খড়ের গাদা পুরে নষ্ট হয়ে যায় । খড়ের গাদাটি ঘর সংলগ্ন হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়ে যেতে পারত । আমরা সকল দুর্যোগ মোকাবেলা সর্বদাই তৎপর থাকি । সকলের প্রতি অনুরোধ, কোন ধরনের অপ্রীতিকর এমন ঘটনা ঘটলে অনুগ্রহ করে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারব ।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী চন্দন ঘোষ ঘিওর থানায় প্রাথমিকভাবে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ।