মোঃ শহিদুল ইসলাম শেরপুর:
গত বৃহস্পতিবার থেকে দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে শেরপুরের ভোগাই ও চেল্লাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ঝিনাইগাতীর মহারশি ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙে ও পাড় উপচে উপজেলা সদর বাজারসহ বিভিন্ন রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। লোকালয়ে প্রবেশ করেছে পানি। এ ছাড়া নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর বাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে অসংখ্য মানুষ।
এদিকে রাতভর বন্যাদুর্গত এলাকায় আটকে পড়াদের উদ্ধার কাজ করেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, রক্ত সৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন সহ আরও স্বেচ্ছাসেবকেরা। বন্যার্ত এলাকায় চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলেও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ভোগাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও ভাটি এলাকায় আরও অন্তত ৫০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। একই সঙ্গে বেড়েছে মহারশি, সোমেশ্বরী, মৃগী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত জেলায় ৭ হাজার ৭ শ হেক্টর জমির আমন ধান সম্পূর্ণ পানির নিচে এবং ৯ হাজার ৭ শ হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ আংশিক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ৬ শ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসন বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা ও শুকনা খাবার বিতরণ শুরু করেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে।