স্টাফ রিপোর্টার:-
বরিশালের বানারীপাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে কৃষি ও মৎস্য চাষের ব্যাবক ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে, ধারনা করা যাচ্ছে সামনে আরো বাড়তে পারে। ১
৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকেই ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর বাড়তে থাকে রাতভর বৃষ্টি শেষে সকালেও থামানি। এরপর দুপুর ৩ টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব কমতে শুরু করে। কিন্তু ততক্ষণে একাধারে বৃষ্টির কারনে বীজতলা, সবজি ক্ষেত, এবং বিভিন্ন পুকুর, জলাশয় প্লাবিত ও পাড় ভেঙ্গে মাছ বের হয়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে।
এতে কৃষি ও মৎস্য সেক্টরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আসঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দিন জানান, আমরা বিভিন্ন এলাকায় খোজখবর নিচ্ছি। সকল তথ্য হাতে এলে ক্ষতি পরিমান জানা যাবে। এছাড়াও যাদের মাছ পুকুরে রয়েছে তাদেরকে আমরা ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ব্যাবস্থা সম্পর্কে চাষীদের পরামর্শ প্রদান করছি যাতে রোগ জীবাণু না ছড়ায়। সরোজমিনে দেখা গেছে অনবরত বৃষ্টির কারনে পুকুরের পাড় নরম হয়ে পাড় ধসে পড়েছে। এছাড়া শীতের আগমনে পানি কম থাকার কারনে পুকুরের নেট তুলে ফেলা হয়েছে এতে করে হঠাৎ বৃষ্টি নামায় কিছু করার আগেই পুকুর ভরে পাড় তলিয়ে মাছ বের হয়ে গেছে কয়েক লক্ষ টাকার।
জানাগেছে, বর্তমানে বাজারদর কম থাকায় অনেকের পুকুরেই মাছ মজুদ ছিল। কিন্তু মাছ বের হয়ে যাওয়ায় সর্বশান্ত অনেক মাছচাষি। অপরদিকে, বিভিন্ন পেঁপেঁ বাগান, শাকের ক্ষেত, ধুনিয়া পাতা, আলুসহ শীতকালিন অনেক সবজি ক্ষেত ই পানি ডুবে যায় এতে করে বেশির ভাগ সবজি পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়াও চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বীজতলা ডুবে যায় এতে সঠিক সময় ধান লাগানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে ছোট বড় অনেক গাছ। পানি কমলে এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বের করা সম্ভব হবে। সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে কৃষি ও মৎস্য চাষে ব্যাপক ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে প্রয়োজন আর্থিক সাহায়তা। যাতে করে নতুন ভাবে শুরু করা যায়।