মোস্তাইন বিল্লাহ দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি:
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী ডাংধরা ইউনিয়নের জিঞ্জিরাম নদী ও লোকায় ঝোরার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের পাথরের চর গ্ৰামের ১৪টি বাড়ি লোকায় ঝোরার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন হয়েছে কয়েক হেক্টর ফসলি জমি।
দিশাহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার মানুষ। ভুক্তভোগী মোছাঃ আম্বিয়া খাতুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এই ঝোরার পারে বসবাস করে আসতেছি। টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হলেই লোকায় ঝোরা বছরে দুই থেকে তিনবার তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেয়।
প্রতিবছর একটু একটু করে ভাঙতে ভাঙতে আমাদের বসত বাড়ির সবটুকু জমি লোকায় ঝোরায় বিলীন হয়ে গেছে। গত তিনদিনের টানা ভারী বর্ষণে পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আমাদের বসবাসের জায়গাটুকু ঝোরার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের আর অন্য কোথাও বসতবাড়ি গড়ার জায়গা নেই।
বর্তমানে তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে রাস্তায় মানবতার জীবন যাপন করছি। একই গ্রামের শুকুর আলী বলেন, গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আমার বসতবাড়ি টুকু ভেঙ্গে ঝোরার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই বসতভিটা ছাড়া আমার অন্য কোথাও আর মাথা গুজার ঠাই নাই। গত তিন দিনের পাহাড়ি ঢলে শেষ সম্বল বাড়ির ভিটাটুকু ঝোরার গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এখন রাস্তায় তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছি।
এখন পর্যন্ত আমরা সরকারি কোনো সহায়তা পাইনি। তাই প্রশাসনের নিকট আমাদের আকুল আবেদন ত্রাণ নয় দীর্ঘস্থায়ী সমাধান চাই। এলাকার স্থানীয় লোকজন বলেন, প্রতিবছর এভাবে ঝোরা ভেঙ্গে ঝরার পাড়ের মানুষগুলো অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এর দীর্ঘস্থায়ী সমাধান না হলে, পাথরের চর গ্রামের শত শত মানুষের বাড়িঘরের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। এছাড়াও নদীভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে পাথরের চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাথরের চর বিজিবি ক্যাম্প, মসজিদসহ শত শত স্থাপনা। নদীভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, পাথরের চর ঝোরায় বাড়িঘর বিলীন হওয়ার বিষয়টি জেনেছি।এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলা হবে।