আজিজুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর সোনামুখি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সহ ৭’জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ আমলি আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন উপজেলার পাঁচগাছি গ্রামের নবীর হোসেন মন্ডলের ছেলে ব্যবসায়ী রানা আহমেদ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালতের আইনজীবি আব্দুর রহিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শাহরিয়ার আলম বাপ্পি দ্রুত আইন বিচারক সিনিয়ার জুটিশিয়াল আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রানা আহম্মেদ। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার পাঁচগাছি গ্রামের মৃত আবুল সরকার ছেলে ও সোনামুখী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দোলা সরকার (৫০), একই গ্রামের বুলবুল সরকারের ছেলে আবু বাসির(৩৭), সোনামুখী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও
দোলা সরকারের ছেলে সবুজ সরকার(২৫), পোক্কা সরকারের ছেলে মনি সরকার(২৮), নজরুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা(৩২),মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে মোঃ মাহিম (৩০) সোনামুখী গ্রামের মৃত সোলেমানের ছেলে হান্নান সরকার(৩০)।
মামলার আরজিতে বাদী রানা আহমেদ উল্লেখ করেন যে, আসামিরা উপজেলার সোনামুখি বাজারে অবস্থিত আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স মেহেনেত ট্রেডিং এ অতর্কিত ভাবে ককটেল, রামদা চাইনিজ কুরাল,লোহার রড,শাবল,ফালা দিয়ে আমার উপর হামলা চালায়, এবং আমার প্রতিষ্ঠানে থাকা ফ্রীজ, এসি, প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ইলেকট্রনিকস পন্য লুট করে নিয়ে যায়, লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার প্রতিষ্ঠান তালা বদ্ধ ও ইলেকট্রনিক মেশিন দিয়ে ঝালাই করে দিয়ে যায়, ওই সময় আমি আমার প্রাণ রক্ষায় দোকান থেকে পালিয়ে গিয়ে অর্ধবধি পর্যন্ত আত্মগোপনে আছি, বাদী রানা আহমেদ আরো বলেন,আমি বিভিন্ন সময় এলাকার মাতবর দের মাধ্যমে তাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন প্রকার সমাধান করতে পারিনি।
লুটের পর বাকী মালামাল উদ্ধারের জন্য বিএনপি নেতা দোলা সরকার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি উল্টো আরও আমার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না পেলে আমাকে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে, তাই আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল উদ্ধার এবং আমার প্রাননাশের হুমকি থেকে বাঁচতে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সোনামুখী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দোলা সরকার ও অন্য আসামিদের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।