মিজানুর রহমানঃ
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ধবলগুড়ি এলাকার হাজীপাড়ায় বয়ে যাওয়া ধরলা নদী তীব্র ভাঙ্গনের কবলে কয়েকশ পরিবার ঘর বাড়ি সহ ফসলি জমি হাড়িয়ে নিঃস্ব।বসত বাড়ি হারিয়ে পরিবার নিয়ে আত্মীয় স্বজনের বাসায় নয়তো অন্যের বাসায় উঠেছেন।
অসময়ের বন্যায় ফসলের ক্ষতি সাধন করে যতটুকু অবশিষ্ট ছিল,তা নদীর ভাঙ্গনে বাকিটা বিলীন হচ্ছে এখন। ভুক্তভোগী মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ধরলা নদীর দিক পরিবর্তন হয়েছে, আমার যে টুকু আবাদি জমি ছিল সব টুকুই ধরলা নদীর পেটে চলে গেছে। ধরলা পাড়ের সাহাবুল ইসলাম বলেন আমার আজ শুধু বলার ভাষা ছাড়া অন্য কিছুই নেই সব কিছুই ধরলা নদী ভাঙ্গনের ফলে আজ আমি নিঃস্ব,ভাঙ্গনের কবলে পড়ে প্রায় ৩০০ শতাধিক একর জমি,ঘরবাড়ি, ধান ক্ষেত, বেগুন ক্ষেত, বাদাম ক্ষেত সহ বিভিন্ন আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে,ধরলা নদীর ভাঙ্গনের ফলে আমরা সর্বহারা হচ্ছি কোথাও গিয়ে এর স্থায়ী সমাধানও পাচ্ছি না।
আমরা এলাকাবাসী শত শত বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি এর কোন সমাধান পাইনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডেও কয়েক বার যোগাযোগ করা হলেও তারা ধরলা নদীর এই পার ভাঙ্গা দেখতে আসেনি।
গ্রাম বাসি প্রশ্ন তুলেছেন যে একেই তো আমাদের ক্ষতি হচ্ছে আমরা এই বৈষম্যের শিকার আর কতদিন হব। চোখের সামনে পাকা ধান ক্ষেত নদীতে বিলীন হতে আর কত দিন দেখবো। এদিকে জোংড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য জনাব আঃ সাত্তার বলেন আমরা বিষয়টি জেনে ও এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছিনা,এ টা আমার ব্যর্থতা। জোংড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে স্থায়ী সমাধান করার চেষ্টা করবো।