মোঃ জাকির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার জায়ফর নগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের শাহাপুর গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে পাখি মিয়ার বাড়ী থেকে ৩৬ বস্তা ধান চুরির ৭ দিন পরে মিলল চোর ও ধানের সন্ধান। থানা পুলিশ, চুরিসহ সব অপকর্ম ঠেকাতে পুলিশ সচেতন রয়েছে এবং এই ধান চুরির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
ধানের মালিক পাখি বলেন গত ৭ অক্টোবর রাতের আধার ঘরের বারান্দা থেকে ৩৬ বস্তা ধান চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্র। এই ধানের দাম প্রায় ৪৭ হাজার টাকা। পরে পাখি মিয়া বাদী হয়ে জুড়ী থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেন।
১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজুল মিয়া বলেন ৭ তারিখ রাতে পাখি মিয়ার বাড়ি থেকে ধান চুরি হয় এ ঘটনায় গ্রামের কয়জনকে সন্দেহ করতেছি পরে খবর পাই ১ নং আসামী সারজুল ইসলাম খোকন পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের খালেরমুখ এলাকায় আছে আমরা খবর পেয়ে সেখান থেকে আমরা এলাকার কয়েকজন মিলে ১ নং আসামী কে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি পরে জুড়ী থানার পুলিশকে খবর দেই পুলিশ আসার পর ১নং আসামী চুরির বিষয় সব স্বীকার করে।
আটককৃত মানিক মিয়ার ছেলে সারজুল ইসলাম খোকন (৩০) এজাহার সূত্রে জানা যায় গত ৭ অক্টোবর গবির রাতে ঘরের বারান্দা থেকে অজ্ঞাতনামা চোরেরা ৩৬ বস্তা ধান চুরি করিয়া নিয়ে যায় এই মর্মে মৃত আরব আলীর ছেলে পাখি মিয়া (৭১), বাদী হয়ে জুড়ী থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেন আসামিরা হলেন (১) মানিক মিয়ার ছেলে সারজুল ইসলাম খোকন মিয়া ২) মৃত মুসলিম খা, এর ছেলে শাহিন খা ( ৩) সবু মিয়ার, ছেলে তায়েফ আহমদ, তাদের সবার বাড়ি জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামে এজাহার দায়ের মামলা নং-০৩/৮৪,তারিখ-১৪/১০/২০২৪খ্রি:,ধারা:৩৮০/৪১১ পেনাল কোড ১৮৬০,জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরশেদুল আলম ভূঁইয়ার দিকনির্দেশনায় এসআই মােঃ উবায়েদ আহমদ নেতৃত্বে,এসআই মোস্তফা কামাল সহ সঙ্গীয় ফোর্স ১ নং আসামী সারজুল ইসলাম খোকন কে গ্রেপ্তার পূর্বক আসামীর স্বীকারােক্তি মতে শাহিন খার বাড়ী হইতে চোরাইকৃত ২০ বস্তা ধান উদ্ধার করা হয়েছে।
২ নং আসামি শাহিন খার স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন আমার স্বামীর প্রচুর জায়গা জমি আছে আমাদের ঘরে প্রচুর ধান আছে আমার স্বামী কেন পাখি মিয়ার ধান চুরি করতে যাবেন উনারা আমার স্বামীকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করতেছেন।
শাহাপুর এলাকার কয়েকজন ,নামর আলী, লুৎফুর রহমান,লতিফ মিয়া ও মনজুর আলম জানান,শাহিন আহমেদের প্রচুর জায়গা জমি রয়েছে।সে চুরি করতে পারে না তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ধান চুরির মামলায় একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক তাহাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।