কক্সবাজারের উখিয়ার শেষ প্রান্তে পালংখালীর থাইংখালীর জামতলিতে অবস্থিত মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসা, হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বালিকা হিফ্জ খানা ও এতিম খানায় হিফ্জ পারেগীন বিভাগ থেকে ৬ শিক্ষার্থী পবিত্র আল কুরআনের ৩০টি পারা এক রাতে মুখস্থ খতম শেষ করেন।
সকিনা খতমে যে সকল ছাত্রীরা ছিলেন,খুদে হাফেজা সালেহা খাতুন কুবরা, পিতা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মেম্বার, রহমতের বিল থাইংখালী,খুদে হাফেজা ফাতেমাতুজ জুহুরা খুশব, পিতা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ হ্নীলা টেকনাফ, খুদে হাফেজা তছলিমা আক্তার পিতা রহমতুল্লাহ থাইংখালী, খুদে হাফেজা নিগার ছিদ্দীকা, পিতা মোহাম্মদ আবু সিদ্দিক, মৌলভী পাড়া উখিয়া,খুদে হাফেজা মরিয়ম তাহারিন, পিতা মোহাম্মদ আমর আলী, থাইংখালী, খুদে হাফেজা নূর হাওয়া, পিতা হাজ্বী আব্দুল হাকিম, জামতলী থাইংখালী উখিয়া কক্সবাজার।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ সেলিম বলেন, হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বালিকা হিফ্জ খানা ও এতিম খানা মাদ্রাসাটি গত ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দূর দূরান্ত থেকে ছাত্রীরা এই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। ফলে মাদ্রাসার রুটিন ও নিয়ম অনুযায়ী সকল ছাত্রীকে সম্পূর্ণ পর্দা সহকারে নারী শিক্ষিকা দ্বারা নিয়মিত পাঠদান করা হয়। মাদ্রাসার বর্তমান ২ শিক্ষিকা ও ৪০জন ছাত্রী নিয়ে হিফ্জ ও নাজেরা বিভাগে পাঠ দান করা হয়।
এর পাশাপাশি বাংলা শিক্ষা ও ইংরেজি শিক্ষার জন্য আমরা মহিলা কওমি কিতাব বিভাগ খুলেছি গত এক বছর অতিবাহিত হয়েছে। বাংলা ও ইংরেজি বিভাগের জন্য আলাদা মহিলা শিক্ষিকা রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ! এই মাদ্রাসার সুনাম যাতে সারা দুনিয়া ও আখিরাতের ফসল হয়ে দাঁড়ায় সেই জন্য সবার নিকট দোয়া প্রত্যাশা। সবিনা অনুষ্ঠানটি পরিচলানা করেন-জনাব মাওলানা হফেজ ইউনুছ ও প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সালাম বিন মালেক (রা:) মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা এমদাদ উল্লাহ।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে মহিলারা হিফ্জ সমাপ্ত করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যোগ,এদেশের হাজারো শিশু থেকে যুবক/যুবতী নষ্ট হচ্ছে মোবাইল নিয়ে কিন্তু এই মেয়েরা শীতকে শীতের মতন না দেখে গরমের তাপকে পিঠ লাগিয়ে কষ্ট করে মহাগ্রন্ত আল কুরআন মুখুস্ত শিখে সবক প্রদান করা তা একজন পুরুষের পক্ষে সহজেই সম্ভব নয়।
এই মহিলা হিফ্জ খানা পোরা কক্সবাজার নয় পোরো পৃথিবিতে কুরআনের আলো পয়দা করুক তা আমরা চাই ও আল্লাহর কাছে দোয়া করি। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,মাওলানা ইউনুছ সরওয়ার, মাওলানা জিয়াউর রহমান,মাওলানা আব্দুল গফুর ও মাওলানা মুদ্দাচ্ছির সহ ছাত্রীদের অভিভাবকগণ।
Leave a Reply