ন্যূনতম ১৫০০ টাকা মণ দরে ধান ক্রয়, ফসলের লাভজনক দাম, ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু, দখলকৃত খাসজমি ফেরত সহ বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির উদ্যোগে ৪ নভেম্বর সোমবার সকালে সমাবেশ, মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
দুপুরে উদীচী কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেয়। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জাতীয় ও স্থানীয় কৃষকের ১২ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রদান করে। পরে মিছিলটি চৌরাস্তায় গিয়ে সংগঠনের জেলা সভাপতি ইয়াকুব আলীর সভাপতিত্বে পথসভা করে।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মোহাম্মদ আলতাফ হোসাইন,সহসাধারণ সম্পাদক সুকান্ত সফি চৌধুরী,জেলা সাধারণ সম্পাদক মোর্তুজা আলম,সংহতি বক্তব্য রাখেন জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.আবু সায়েম প্রমূখ। বক্তারা বলেন,দেশের অর্থনীতির প্রধান বুনিয়াদ কৃষি। পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে দেশের অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক ভিত্তি কৃষির উপর নির্ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। দেশে আমন ধান কিছু দিনের মধ্যেই কাটা শুরু হবে। প্রতিবছর ধানের দাম সরকার নির্ধারণ করলেও ধানসহ পাট, গমের লাভজনক দাম কৃষক পাচ্ছে না।
সপ্রতি দফায় দফায় সার, জ্বালানি তেল ও কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে ফসলের দাম পাচ্ছে না। কৃষক সমিতি ন্যূনতম ১৫০০ টাকা মণ দরে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়, ধান-গম-পাট-সবজিসহ ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত, অবিলম্বে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু, সারের বর্ধিত দামসহ বীজ-কীটনাশক সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম কমানো, সবজি সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ, বিএডিসিকে দুর্নীতিমুক্ত ও সচল করা এবং শস্য বীমা চালুর দাবিতে আসছে।
কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে কৃষক সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালন করছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং পরবর্তীতে কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে হবে বরে জানান বক্তারা।