জামালপুরের যমুনা নদী, ফুটানি বাজার ঘাট, দেওয়ানগঞ্জ, জামালপুর এর সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (SPK)
সহযোগীতায় ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশ এবং ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর র্যালী পরবর্তী আলোচনা সভা করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো: মাহবুবুর রহমান মহব্বত
প্রোগ্রামের বিবরণ:
বাংলাদেশে গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে আয়োজিত এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন বোট র্যালী ৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ফুটানি বাজার ঘাটে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি শুরু হয় সকাল ১১:০০টায়, এবং এতে স্থানীয় জনগণসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (SPK) এর প্রধান নির্বাহী মো: এনামুল হক এর সঞ্চানালয়ে
সভাপতিত্ব করেন মো: মাহবুবুর রহমান মহব্বত, উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এম এইচ মজনু মোল্লা, চেয়ারম্যান, মানবতা ফোরাম। মো: মোশিউর রহমান, কলামিস্ট এবং সম্মিলিত মানবাধিকার বিশ্ব (Combined Human Rights World) এর চেয়ারম্যান।
দেওয়ান আবদুল মালেক, সাংস্কৃতিক কর্মী। তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থা নিরবে পরিচালক
শামিমা খান, সূর্য তোরণ সমাজ সেবা সংস্থা এর নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী মো: খোরশেদ আলম, আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ই-প্রেস ক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা: শফিকুল ইসলাম আজাদ খান, আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ই-প্রেস ক্লাব জামালপুর জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: এমদাদুল হক, হিজড়া মানব কল্যাণ সংস্থার সভাপতি কেয়া আক্তার মুন্নী, তানভীর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, ডিপিএফ, অগ্রদুত সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মো: আনিসুর রহমান, রশিদপুর বটতলা সিবিও এর সাধারণ সম্পাদক, মোস্তাকিমা প্রমুখ।
বিক্ষোভ এবং অংশগ্রহণকারীরা:
উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারীরা নৌকায় চড়ে গ্যাস এবং এলএনজি প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নদীতে উপস্থিত হন। বিক্ষোভের মাধ্যমে তারা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উদ্ভূত পরিবেশগত ক্ষতির প্রতিবাদ করেন এবং গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
এক্ষেত্রে, ৫০ জনের অধিক অংশগ্রহণকারী প্রতি স্থানে নৌকায় বিক্ষোভ করেন, যাদের হাতে ছিল বিভিন্ন রঙের ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড, যা গ্যাস সম্প্রসারণ বন্ধের আহ্বান জানায়।
বিক্ষোভের মূল দাবি:
“গ্যাস সম্প্রসারণ বন্ধ কর””প্রাকৃতিক গ্যাস এবং এলএনজি প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ কর””গ্যাস নয়, সমাধান হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি””জীবাশ্ম জ্বালানির দ্রুত, ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত ফেজ-আউট”
“কয়লা থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর”
এছাড়াও, বিক্ষোভকারীরা অতিরিক্ত স্লোগান প্রদান করেন, যেমন: “জীবাশ্ম গ্যাস পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর” “জীবাশ্ম গ্যাস মানুষের জন্য বিষাক্ত” “জীবাশ্ম গ্যাস একটি ব্যয়বহুল জ্বালানি””গ্যাসের বিকল্প আছে””প্রাচ্যের দেশগুলোতে গ্যাস সম্প্রসারণ করা চলবে না”
প্রধান উদ্দেশ্য: এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে গ্যাস এবং এলএনজির সম্প্রসারণ বন্ধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা, সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রতি চাপ সৃষ্টি করা যাতে তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির প্রকল্পগুলো বন্ধ করে।
এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন এর মাধ্যমে এই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরা তাদের ন্যায্য দাবি এবং প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ পেয়েছেন। এটি নিশ্চিত করেছে যে বাংলাদেশে গ্যাস সম্প্রসারণ এবং জীবাশ্ম জ্বালানির বিপদ সম্পর্কে আরও বেশি মানুষ সচেতন হতে শুরু করেছে। এই কর্মসূচি সরকার এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাছে পরিবেশবান্ধব শক্তির দিকে যাওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা প্রেরণ করবে।