টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে প্রযত্নের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী) দুপুরে ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নের পাতলাচড়া গ্রামে প্রযত্নের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। এসময় প্রযত্নের পরিচালক ইকবাল হোসাইন জুপিটার, ধনবাড়ী উপজেলা মৎস্য অফিসার তাহমিনা আক্তার , ধনবাড়ী উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমাম হাসান সোহান, প্রযত্নের অন্যান্য অংশীদার, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম এবং স্হানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য অফিসার ঘুরে ঘুরে প্রযত্নের মৎস্য চাষ, ঘানি ভাঙ্গা খাঁটি সরিষার তেলের ঘানি, হাতে ভাজা মুড়ি,লাল চাউল,লাল আটা, মসলা প্রকল্প, হাঁস মুরগির খামার সহ দেশীয় ফলের বাগান পরিদর্শন করেন। তিনি মৎস্য চাষে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। প্রযত্নের প্রকল্প পরিদর্শনের সময় পরিচালক ইকবাল হোসাইন জুপিটার জানান, ‘কৃষির সাথে কৃষকের সাথে উৎপাদক ও ভোক্তার সম্পর্ক আরও নিবিড়, বন্ধুত্ব করতে ভেজাল বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে নৈতিক দায় থেকেই মুলত প্রযত্নের পথ চলা শুরু ।
কৃষক যদি তাঁর উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের ন্যায্য মূল্য পায় আর ভোক্তা যদি তা ন্যায্য মূল্য দিয়ে সেই পণ্য ক্রয় করে তাহলেই কেবল সম্ভব কৃষি ও কৃষকের সম্পর্ক আরও নিবিড় ও বন্ধুত্ব সুলভ করা। তাই জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ ডাক্তার কে না দিয়ে কৃষককে দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে প্রযত্ন । যেদিন থেকে আধুনিক কৃষির নামে রাসায়নিক সার আর ভয়ংকর সব আগাছা নাশক বা বালাইনাশক দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে সেদিন থেকে প্রকৃতির সাথে শত্রুতা শুরু হয়েছে। দেশের সুজলা সুফলা মাটি আজ বন্ধ্যা হয়ে পড়েছে।
এক্ষেত্রে আরও বেশি রাসায়নিক সার প্রয়োগ এবং কীটনাশকের ছড়াছড়িতে আমরা কেবল বাজার থেকে টাকা দিয়ে ব্যাগ ভর্তি বিষ-ই কিনে খাচ্ছি , যার পরিণতিতে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি এবং মৃত্যুকে নির্দ্বিধায় ‘ভাগ্যের লিখন’ বলে খুব সহজে মেনে নিচ্ছি। আসলে কি তাই ? এখনই সময় সতর্ক হওয়ার, সতর্ক করার । এই মুহূর্তে সবাই মিলে হাত না মেলালে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।
এই মিলিত প্রচেষ্টাকে বাস্তবায়নের জন্য, এই উদ্দেশ্য কে সার্থক করতে আমরা স্বপ্নবাজ কিছু তরুণ ময়মনসিংহ শহরে গড়ে তুলেছি “প্রযত্ন” নামে একটি বিষ মুক্ত, নিরাপদ খাদ্য পণ্যের বিপণন শৃঙ্খল। মূলত আমাদের বিপণন কেন্দ্রের মাধ্যমে অথবা মুঠোফোনে আদেশে’র ভিত্তিতে আমরা আপনাদের ঘরের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগৃহীত খাঁটি,নিরাপদ এবং বিষ মুক্ত জৈবিক চাল,ঘানি ভাঙ্গা খাঁটি সরিষার তেল , গমের লাল আটা , ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি, বিশুদ্ধ মশলা, দেশী গাভীর দুধে তৈরি খাঁটি ঘি, চাক ভাঙা মধু, হাতে ভাজা মুড়ি ,দেশী হাঁস মুরগীর ডিম, যাঁতায় ভাঙ্গানো বিভিন্ন ডাল সহ নিরাপদ মৌসুমী ফল আর বিভিন্ন খাদ্যপণ্য। আসুন একাধারে আমরা কৃষক, কৃষি ও গ্রামকে রক্ষা করি আর কৃষকদের থেকেও অঙ্গিকার নিই , তাঁরা যেন বিষাক্ত খাদ্য উৎপাদন বন্ধ করে বিষ মুক্ত খাদ্য উৎপাদনে সহযোগী হয় ।