মানিকগঞ্জের ঘিওরে দ্বিতীয় বিয়েতে বাঁধা দেওয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী লায়লা আরজুকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে স্বামী সেকেন্দার আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোছাঃ ইয়াছমিন খাতুন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান। এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ঘিওর উপজেলার রাথুরা এলাকার সেকেন্দার আলীর নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সেকেন্দার আলী ঘিওরের বানিয়াজুরির রাথুরা রাধানগর এলাকার মৃত সামছুর রহমানের ছেলে। পুলিশ জানান, নিহত লায়লা আরজু দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিকস, হাই পেসার, থাইরয়েড ও ব্রেস্ট ক্যান্সার আক্রান্তসহ জরায়ু অপসারণ করেছিলেন। এরপর ২০২২ সাল থেকে স্ত্রী লায়লা আরজু অসুস্থ্য হয়ে পড়েন এবং স্বামী সেকেন্দার আলীর চর্মরোগ থাকায় স্বামী-স্ত্রী আলাদা রুমে থাকতেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক না থাকায় সেকেন্দার আলী দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইলে স্ত্রী লায়লা আরজুর তাকে বাধা দেন।
দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয় এবং বিয়েকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সেকেন্দার আলী স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের মেঝেতে ফেলে দেয়।
এরপর রান্না ঘর থেকে ছুরি এনে স্ত্রী লায়লা আরজুর গলায় কয়েকটা আঘাত করে এবং আঘাতের পর রক্ত বের হয়ে ওড়না দিয়ে স্ত্রীর গলা বেঁধে ঘরে ফেলে রেখে বাজারে যান। এরপর বাজার থেকে ফিরে ঘরের ভিতরে রক্তান্ত অবস্থায় স্ত্রীকে চিৎকার করে লোকজনকে ডাকেন এবং স্থানীয় ডাক্তার ও পুলিশকে খবর দেয়।
পরে এঘটনায় বৃহস্পতিবার নিহতের ভাই মাইনুল ইসলাম মুকুল বাদি হয়ে ঘিওর থানায় মামলা করেন। পুলিশ সুপার মোছাঃ ইয়াসমিন খাতুন জানান, ঘটনার পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও সোর্সের মাধ্যমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন এবং আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। ঘটনার পর সিআইডি, গোয়েন্দা পুলিশসহ থানা পুলিশ সিভিলে কাজ করেছেন বলেও তিনি জানান।