ডেস্ক রিপোর্ট
আওয়ামী লীগবিরোধী ভোটের ওপর ভর করে জাতীয় পার্টি (জাপা) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে বলে মনে করেন দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলটির মনোনয়ন বিক্রির শেষ দিনে সাংবাদিকদের এমন আশার কথা জানান চুন্নু।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আমলে দেশে ওষুধনীতি, উপজেলা পরিষদ প্রবর্তনসহ নানান উন্নয়নমূলক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, এসবের সুফল এখন মানুষ পাচ্ছে। এখনকার কোনো সরকার নতুন কিছু করেছে বলে দেখি না। গত ৩৩-৩৪ বছরে যারা শাসন করেছে তাদের চেয়ে অনেক ভালো শাসন ছিল এরশাদের আমলে। তাই আমরা আশাবাদী। ভোটাররা যদি ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে। এন্টি আওয়ামী লীগ ভোট এদেশে ব্যাপক। আওয়ামী লীগের যা ভোট আছে, তার চেয়ে অনেক বেশি এন্টি আওয়ামী লীগ ভোট।
তিনি বলেন, কেন্দ্রে যদি ভোটার আসতে পারে। তাহলে আমার মনে হয় ৩০০ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতেও পারি। আশা করি, যদি পাই আমাদের অনেকেরই দেশ চালানোর যোগ্যতা আছে। অনেকে মন্ত্রী ছিলেন তাদের অভিজ্ঞতা আছে। আমরা দেশে সুশাসন দিতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, রওশন এরশাদ নির্বাচন করতে চান। তার সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। মনোনয়ন ফরম নিতে তার লোক পাঠানোর কথা। কিন্তু কেউ আসেননি। রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করলে তাকে সবধরনের সহায়তা করা হবে উল্লেখ করে চুন্নু বলেন, তিনি আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র।
রাজনীতিবিদরা গরু ছাগলের মতো বিক্রি হচ্ছে, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উদ্ধৃতি তুলে জাপার অবস্থান ও কোনো চাপে পড়ে জাপা নির্বাচনে এসেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে চুন্নু বলেন, যে এখন বলছে, সেও দুইদিন পরে আসে কি না, এইগুলো রাজনৈতিক কথাবার্তা। আমাদের কেউ কিনে নাই। টাকা পয়সাও দেয় নাই। দিলে তো ভালো হত।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি একটা বড় দল। তার নিজস্ব রাজনীতি আছে। নিজস্ব কৌশল আছে। কৌশল অনুযায়ী ভোটে যাবে বা না যাবে তা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো স্বাধীনতা আছে। নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেইনি। অনেক তর্ক-বিতর্ক করে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।