ডেস্ক রিপোর্ট
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পর্যবেক্ষক পাঠানো না-পাঠানো জাতিসংঘের বিষয়। নির্বাচন নিয়ে অনেক বিভ্রান্তির পরও শতাধিক পর্যবেক্ষক আসবেন। এ নিয়ে আমরা চিন্তিত নয়।’
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে যত বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, যত অপবাদ ছাড়ানো হয়েছে…সেখানে কিন্তু অনেকে ভেবেছিল বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সাড়া দেবেন না। কিন্তু ইতোমধ্যে শতাধিক পর্যবেক্ষক সাড়া দিয়েছেন। এ নিয়ে আমরা চিন্তিত না।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক না পাঠালেও যুক্তরাষ্ট্র ও কমনওয়েলথসহ অনেকে পাঠাচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে প্রায় শতাধিক পর্যবেক্ষকের নাম চলে এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাওয়া অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন, আওয়ামী লীগের চাওয়া একই।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিএনপি তাদের শেষ কথা বলে দিয়েছে। তাই তাদের নিয়ে কথা বলার কোনো জায়গা নেই।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার হাসের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। তার একটি নির্দিষ্ট কূটনৈতিক সীমানা আছে। আশা করি, তিনি তা মেনে চলবেন।
দলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের অংশগ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন হবে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মধ্য জাগরণ দেখা যাচ্ছে। এই নির্বাচন ভোটারবিহীন হবে না।
তিনি বলেন, রওশন এরশাদের নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত তার ব্যক্তিগত। কিন্তু তার দল নির্বাচন করছে। এটা জাতীয় পার্টি নির্বাচন বয়কটের মধ্যে পড়ে না। তৃণমূল বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা একটি চমক। আরও চমকের জন্য নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।