স্পোর্টস ডেস্ক
২৬ রানে ছিল না ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে ভালো একটা অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে এখন পর্যন্ত ৮৫ রান যোগ করেছেন তারা। এতে ২ উইকেটে ১১১ রান নিয়ে চা-বিরতিতে গেছে লাল-সবুজেরা। ফলে ১০৪ রানের লিড এখন স্বাগতিকদের। শান্ত ৪৮ ও মুমিনুল ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে, সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্ন-বিরতির পর তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
ধীরগতিতে ইনিংস শুরু করলেও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি দুই টাইগার ওপেনার। এতে দলীয় ২৬ রানের মাথায় দুই ব্যাটারকে হারায় শান্ত বাহিনী।
প্রথম দুই দিনের তুলনায় আজ বাড়তি টার্ন পাচ্ছেন স্পিনাররা। তাতেই পরাস্ত হন জাকির। ইনিংসের ১৩তম ওভারে অ্যাজাজ প্যাটেলের অফ-স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল জাকিরের পায়ে আঘাত করে। এতে লেগ-বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার। ৩০ বলে ১৭ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।
পরের ওভারেই আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার জয়ও। সাউদির বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ করেছিলেন শান্ত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা সাউদির হাত স্পর্শ করে বল আঘাত হানে নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্পে। এ সময়ে জয় পপিং ক্রিজের বাইরে ছিলেন। ফলে একরাশ হতাশা নিয়ে তাকে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রান করা জয় এবার মাত্র ৮ রানে আউট হয়েছেন।
এরও আগে, প্রথম ইনিংসে টাইগারদের ৩১০ রানের জবাবে ৩১৭ রানে অলআউট হয় কিউইরা। প্রথম ইনিংস থেকে ৭ রানের লিড পায় কিউইরা।
দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ব্ল্যাক-ক্যাপসদের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। ২ উইকেট হাতে নিয়ে ৪৪ রানে পিছিয়ে ছিল কিউইরা। কাইল জেমিসন ৭ ও অধিনায়ক টিম সাউদি ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরে এসপি কাপ ভলিবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিতঃ বিজয়ী দল ভাঙ্গা থানা পুলিশ
এরপর নবম উইকেটে ১১০ বলে ৫২ রান তুলে নিউজিল্যান্ডকে লিড এনে দেন জেমিসন ও সাউদি। ১০২তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৩১৬ রানে জেমিসন-সাউদির জুটি ভাঙেন পার্ট-টাইম স্পিনার মমিনুল হক। একই ওভারের পঞ্চম বলে সাউদিকে বোল্ড করে নিউজিল্যান্ডকে ৩১৭ রানে গুটিয়ে দেন তিনি। জেমিসন ২৩ ও সাউদি ৩৫ রান করেন। এ ছাড়া ১ রানে অপরাজিত থাকেন শেষ ব্যাটার অ্যাজাজ প্যাটেল।
বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম ১০৯ রানে চারটি এবং মমিনুল ক্যারিয়ার সেরা ৪ রানে ৩ উইকেট নেন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম-মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান।