স্পোর্টস ডেস্ক
রানরেট ঠিকই ছিল। কিন্তু উইকেট পতনের মিছিল যেন থামছে না বাংলাদেশের। ব্যাটাররা নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছেন। ব্যতিক্রম হলেন না অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরেন সৌম্য সরকার। দলে ফিরে আরও একবার ব্যর্থ হলেন তিনি। চতুর্থ বৈধ ডেলিভারিটি লেগ স্টাম্পের বাইরে খানিকটা খাটো লেংথে করেছিলেন অ্যাডাম মিলনে।
আউট সুইং করে বের হয়ে যাওয়া বল ডিফেন্স করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন সৌম্য। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি এই ওপেনার।
সৌম্যের পর দ্রুতই ফিরতে পারতেন এনামুল হক বিজয়ও। জ্যাকব ডাফির করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন বিজয়। তবে অনেকটা দৌড়ে গিয়ে সেটা হাতে জমাতে পারেননি উইকেটকিপার টম ব্লান্ডেল। ফলে ৮ রানে জীবন পান বিজয়।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ইশ সোধিকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তার আগে শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বভলে ১৫ রান।
শান্ত ফেরার পর লিটনকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান তুলায় মনোযোগ দিয়েছিলেন বিজয়। তবে ৪৩ রানে থামেন তিনি। একবার জীবন পেয়েও হাফ সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে।
লিটন ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ক্লার্কসনের খাটো লেংথের বলে পুল করতে গিয়ে ভুল করেন লিটন। তার গ্লাভস ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটকিপারের গ্লাভসে। সাজঘরে ফেরার আগে ১৯ বলে ২২ রান করেছেন তিনি।
ছয়ে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন মুশফিক। আরও একবার রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১০ বলে ৪ রান করেছেন মুশফিক।
এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ডিএলএসে নির্ধারিত ৩০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ বলে ১০৫ রান করেছেন ইয়াং। বাংলাদেশের হয়ে ৬ ওভারে ২৮ রানে ২ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার শরিফুল ইসলাম। ডিএলএসে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ২৪৪ রানের।