স্পোর্টস ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কখনও তাদের হারাতে পারেনি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে এবার ইতিহাস পাল্টাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল টাইগ্রেসরা। দলীয় কোচ, অধিনায়ক ও ক্রিকেটারদের ছিল দৃঢ় প্রত্যয়। শেষ পর্যন্ত প্রোটিয়াদের হারিয়েই দিলো তারা।
জ্যোতি-মুর্শিদার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে টাইগ্রেসরা প্রথমে ব্যাট করে ১৪৯ রানের বড় স্কোর গড়ে। বাকি দায়িত্ব ছিল বোলারদের ওপর। সেখানে ‘গোল্ডেন এ প্লাস’ পেয়েছেন স্বর্ণা আক্তার। তার ৫ শিকারে প্রোটিয়াদের ইনিংস থেমেছে ১৩৬ রানে। ফলে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো টাইগ্রেসদের কাছে হেরে গেল ১৩ রানে। একইসঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটা জয় দিয়ে শুরু করল বাংলাদেশ।
এর আগে ২০১২ সালে মিরপুরে প্রথমবারের মতো প্রোটিয়াদের হারিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ৭ উইকেটের সেই জয়ের পর আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে দু’দলের মুখোমুখি দেখায় ১১ টি-টোয়েন্টির ১০টিতেই জয় পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। তাই আজকের জয়টি সব দিক থেকে দারুণ কিছু জ্যোতি-স্বর্ণাদের জন্য।
বেনোনির উইলোমোর পার্ক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে নেমেছিল। ওই সিরিজে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি উভয় ফরম্যাটেই জয় পেয়েছিল জ্যোতির দল। ফলে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নেমে টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তার সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে দারুণ শুরুে এনে দেন ওপেনাররা। শেষ পর্যন্ত মুর্শিদা খাতুনের অপরাজিত ৬২ এবং অধিনায়ক জ্যোতির ঝোড়ো ৩৪ রানে ভর করে বাংলাদেশ প্রোটিয়াদের ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরাও উড়ন্ত সূচনা পায় দুই ওপেনারের ব্যাটে। ওপেনিং জুটিতে প্রোটিয়া অধিনায়ক তাজমিন ব্রিটস ও অ্যানিকে বখ পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে উইকেটশূন্য ৫০ রান তোলেন। বাংলাদেশি বোলারদের চাপের মুখে রেখে তাদের সেই জুটি টিকে দলীয় ৬৯ রান পর্যন্ত। ব্রিটসকে ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফিরিয়ে টাইগ্রেসদের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন রাবেয়া খান। মাত্র তিন রানের ব্যবধানে সফরকারীদের আবারও আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন ফাহিমা খাতুন। তিন নম্বরে নামা অ্যানারি ডার্কসেনকে ব্যক্তিগত ১ রানেই বোল্ড করে দেন এই লেগ-স্পিনার। ৬৯ রানের আগপর্যন্ত উইকেট না হারানো প্রোটিয়ারা ৭২ রানে ২ উইকেট হারায়।