স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা জেলার ধামরাই থানার সূয়াপুর ইউনিয়ন । যেখানে ২২টি গ্রামে জনসংখ্যা প্রায় ১৫,৮৬৫ জন । এতগুলো মানুষের বিভিন্ন সনদসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধার হালনাগাদ এর গুরু দায়িত্ব পালন করে থাকে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ।
মানব সেবার এমন মহান দায়িত্ব পালন করে কেউ হয়ে যাচ্ছে মানুষের বিচ্ছিন্ন আত্মার আত্মীয়, আবার অপব্যবহার করে অনেকেই বনে যাচ্ছে লাখোপতি থেকে কোটিপতি । এমন দায়িত্বের অপব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায় সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আলী রাজ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ।
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জে সড়কে নিরাপত্তায় চেক পোস্ট বার হস্তান্তর
তথ্য নিয়ে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন যাবত মানুষের বিভিন্ন ধরনের সনদের ক্ষেত্রে অনৈতিকভাবে তথ্য বালচাল করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নাগরিকদের হয়রানির করে এসেছে । এমন অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে গেলে অনুসন্ধানের মাধ্যমে তার কুকর্মের সততা প্রকাশ পেলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয় । এ বিষয়ে বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, “আলী রাজ তথ্যকেন্দ্রের ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে এসেছে ।
এলাকার সাধারণ নাগরিকগণ আলী রাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আমার কাছে দাখিল করেছে । সে গরীব দুঃখী মানুষের বিভিন্ন সেবার খাত সহ বয়স্ক ভাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের তথ্য হালনাগাদ এর ক্ষেত্রে লোকদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে ব্যক্তিগতভাবে হাতিয়ে নিতো । সরকারি সেবা জন্ম নিবন্ধন এর ক্ষেত্রে নাম বানান ও তথ্য ওলটপালট করে সংশোধনের নামে মোট অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো । এমন অসংখ্য অভিযোগ আলী রাজ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ।
এমন কয়েকটি অভিযোগের সততা প্রমাণিত হলে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বহিষ্কার করা হয় ।” ” সূয়াপুর ইউনিয়নের নাগরিকদের প্রতি আমার আহ্বান তা হলো, আলী রাজ ও তার সহযোগীদের থেকে ইউনিয়নের সকল প্রকার সেবা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি ।
যদি কেউ তাদের থেকে প্রতারিত হন, সে ক্ষেত্রে ইউনিয়নের কর্মরত কেউ দায়ী থাকবে না । সূয়াপুর ইউনিয়নের সকল প্রকার সেবার ক্ষেত্রে আমি আপনাদের জন্য হাজির । কোন কিছু করার আগে কমপক্ষে আমাকে অবহিত করুন । আপনাদের সেবার জন্যই আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন । জনগণের সেবাই আমার ধর্ম, এর জন্য সর্বদাই আমার দরজা খোলা “