আনিছ আহমেদ(শেরপুর)প্রতিনিধিঃ
শেরপুর-৩ (১৪৫)(শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে দলীয় মনোনীত প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলামের নৌকার সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইমের ট্রাক মার্কা।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে শ্রীবরদী ঝিনাইগাতী শেরপুর ৩ (১৪৫) আসনে নির্বাচনের মাঠে উৎসব মুখর পরিবেশ দেখা দিয়েছে। প্রার্থীরা ভোটের লড়াইয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
এডিএম শহিদুল ইসলাম দলীয় প্রতিক নৌকা নিয়ে লড়াই করেছেন।একই দলের ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক মার্কা প্রতীক নিয়ে নৌকাকে ডুবিয়ে ট্রাক মার্কা নিয়ে বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করেছেন।এদিকে স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শেরপুর ৩ এই আসন টিতে সবসময় শ্রীবরদী উপজেলার প্রার্থীকেই দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। তাই ঝিনাইগাতী উপজেলার মানুষ এমপির স্বাদ উপভোগ করতে পারেনি।
এবার ঝিনাইগাতী উপজেলার ভোটাররা ৫৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রার্থী নাইমকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। এমন টাই মনে করেন ট্রাক মার্কার সমর্থকরা।আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে নাইমকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন ঝিনাইগাতী উপজেলার মানুষ।আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা নৌকা ছেড়ে ট্রাকের যাত্রী হয়েছেন ।ভোটারদের নৌকা ছেড়ে ট্রাক মার্কা কে বিজয়ী করার জন্য উৎসাহিত করে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটের মাঠে সক্রিয় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এই আসনটিতে সর্বমোট ছয় জন প্রার্থী মাঠে আছেন।জাতীয় পার্টির লাঙ্গল নিয়ে মো; সিরাজুল ইসলাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা নিয়ে মো; সুন্দর আলী, প্রকৌশলী মো; ইকবাল আহসান ঈগল মার্কা নিয়ে লাঙ্গলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী।
শ্রীবরদী উপজেলার আরেক আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী নেতা মিজানুর রহমান রাজা উচ্চ আদালতে রায় পেয়ে কেটলী মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। শ্রীবর্দীতে ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ২লাখ ৩৩হাজার ভোটার নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা প্রার্থী হচ্ছেন ৪জন।
ঝিনাইগাতী উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে ১লাখ ৬৩হাজার ভোটার নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা প্রার্থী ২জন, বিদ্রোহী প্রার্থী ও জাপা সমর্থিত প্রার্থীরা নিষ্ক্রিয়, মাঠে সরগরম চোখে না পড়ার মতোই।তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইমের ট্রাক মার্কার সাথেই হবে নৌকার লড়াই।বিএনপির ভোট বর্জনের ঘোষণা থাকলেও। মানছেনা তৃণমূলের বিএনপির সমর্থকেরা।তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নৌকাকে হারানোর চেষ্টাই যেনো প্রতিবাদ হিসেবে মনে করছেন, ঝিনাইগাতী উপজেলার কিছু বিএনপির ভোটার।
তবে একাধিক বিএনপি নেতাকর্মীরা জানায় গত ১৫বছরে গায়েবী মামলা সহ অসংখ্য মামলা দিয়ে যে হয়রানির স্বীকার হয়েছি।বিএনপি ভোট দিতে যাবেন না।ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।এদিকে দুই উপজেলার সাধারণ ভোটাররা মনে করেন,নৌকার মনোনীত প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থেকে নৌকা মনোনয়ন পেয়েছেন।তাই এবারও বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় হবে।
এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।