মাসুদ হোসেন খান :
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে মাদারীপুর জেলার কালকিনিতে বেশ কয়েকটি এলাকায় সহিংস ঘটনা ঘটে, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সহিংসতা ছড়িয়ে পরলে শতশত বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনা ঘটে এরই ধারাবাহিকতায় কালকিনি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, বিএনপি নেতা, আনোয়ার হোসেন ও তার সহযোগিতারা ভয়ংকর হামলা চালায় একই এলাকার নয়াকান্দি ভোটকেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট সংখ্যা লঘু পরিবার উজ্জ্বল মন্ডলের বাড়িতে, হামলা চালিয়ে ভাংচুর গবাদিপশু লুটপাট সহ উজ্জ্বল মন্ডলের বাবা ঝন্টু মন্ডলকে পিটিয়ে হাতপা ভেঙে তার স্কুল পড়ুয়া ১৩ বছরের কিশোরী বোনকে লাঞ্ছিত করে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তার না ঊর্মিলা রাণী মন্ডল বাধা দিলে তাকে মারধর করে জোরপূর্বক সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যাওয়ার সময় গরু ছাগল হাস মুরগী আলমিরা ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্নলংকার নিয়ে যায় তারা।
সহিংসতায় মারাত্মক আহত ঝন্টু মন্ডলকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সহিংসতা কারীদের আঘাতে ঝন্টু মন্ডলের বাম হাত ও দুটি পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
১৪ জানুয়ারী ২০২৪ সকালে আহত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঝন্টু মন্ডলকে দেখতে যান মাদারীপুর -৩ আসনের নৌকা প্রতীক প্রার্থী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। এসময় তিনি হাসপাতালের পরিচালক অর্থোপেডিক্স সার্জারির অধ্যাপক ডা. কাজী শামীম উজজামানের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং এবং ঝন্টু মন্ডলের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়ে সহিংসতার শিকার ঝন্টু মন্ডলের যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
তিনি আরো বলেন, যারা দেশেকে ভালোবাসে তারা কখনোই এমন ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড করতে পারেনা। সকল প্রকার সহিংসতায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তিনি। ঝন্টু মন্ডলের ছেলে উজ্জ্বল মন্ডল জানান, মাদারীপুর -৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন তাই কিছুটা হলেও আমরা বুকে সাহস পেয়েছি, আমরা বাংলাদেশের সংখ্যা লঘু নাগরিক নূনতম সম্মানটুকুও যদি আমরা না পাই তবে এই দেশে আমাদের কি অধিকার রয়েছে, আমরা তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা ও ভরসা রেখেই নৌকায় ভোট দিয়েছি, নৌকায় ভোট দেয়ায় যদি আমাদের মা বোনদের লাঞ্ছিত সহ বাবাকে পিটিয়ে হাতপা ভেঙে দেয় তাহলে আমরা কার কাছে যাবো, শেখ হাসিনাই তো আমাদের শেষ ভরসা।
১৩ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ঝন্টু মন্ডলের কিশোরী মেয়ে রুম্পা মন্ডল জানান – তাকে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মা ঊর্মিলা রাণী মন্ডল বাধা দিলে তাকেও মারধর করে,হামলাকারীদের ভয়ে তাদের চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনি।
কান্না জড়িত কণ্ঠে সেই দিনের ভয়াল স্মৃতির কথা মনে করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার বাবা ঝন্টু মন্ডলের চিকিৎসার আবেদন জানান। এদিকে কালকিনি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের নয়াকান্দি নিজ বাড়িতে গৃহ বন্দী করে রাখা হয়েছে ঝন্টু মন্ডলের স্ত্রী ঊর্মিলা রাণী মন্ডলকে। এদিকে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে আনোয়ার কমিশনারের স্ত্রী রিক্তা বেগম। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, কালকিনি থানা অফিসার ইনচার্জ সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন।