মোঃ আজিজুল ইসলাম নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চর ভানুডাঙ্গায় বিএডিসি’র এলএলপি সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার আবুল কালামের বিরুদ্ধে বিএডিসি’র নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে কৃষকদের নিকট থেকে ইচ্ছেমাফিক অর্থ আদায় সহ নানা ধরনের সেচ্ছাচারিতার অভিযোগে জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন পোর্টাল সহ একাদিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও ভুক্তভোগী কৃষকদের মানববন্ধনের পর সত্যকে আড়াল করতে সেচ ম্যানেজার আবুল কালামের দৌড়ঝাপ শুরু।
সংবাদ ও মানববন্ধনে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষুদ্রসেচ নীতিমালা অনুযায়ী “সেচ যন্ত্রের ডিজেল/বিদ্যুৎ খরচ সেচ নালা নির্মাণ, সেচযন্ত্রের চালক খরচ, ইঞ্জিন/মোটর মেরামত খরচ ইত্যাদির উপরে ভিত্তি করে উপজেলা সেচ কমিটি কর্তৃক প্রতি বছর একর প্রতি সেচচার্জ নির্ধারণ করে এবং সে মোতাবেক কৃষকগণ ম্যানেজারকে সেচচার্জ প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও বিএডিসির সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের শোষণ করে আসছে উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের চর ভানুডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আলতাফ সরকারের পুত্র আবুল কালাম।
বিএডিসি’র ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের আওতায় একটি এলএলপি সেচ ও একটি মোটর চালিত সেচ সংযোগ গ্রহণ করে ম্যানেজার কালাম। এ’দুটি প্রকল্পের আওতায় ওই এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক কৃষকের প্রায় সাড়ে তিন’শ বিঘা আবাদি জমিতে পানি সেচ সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও বিএডিসির বেঁধে দেওয়া প্রতি ডিসিমাল জমিতে পানি সেচের জন্য নির্ধারিত ৬০’থেকে ৬৫’টাকার পরিবর্তে ম্যানেজার কালাম ডিসিমাল প্রতি হাতিয়ে নিচ্ছে ১’শত টাকা। এতে সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ এলাকার কৃষকেরা।
সুবিধা বঞ্চিত এ সকল কৃষকদের অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে স্যালো মেশিন দিয়ে প্রায় ১’শ’বিঘা জমিতে পানি সরবরাহ করে আসছে। আর স্যালো মেশিন না থাকায় বাকি কৃষকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।