চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
কক্সবাজার-বান্দরবানসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের ২০ রুটে এবার ১২ ঘণ্টার বাস ধর্মঘট চলছে। মহাসড়কে রুট পারমিটবিহীন যান ও দ্বিতল বাস চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল বান্দরবান-কক্সবাজার জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ওই কর্মসূচি দিয়েছে। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। যাত্রীরা বাস টার্মিনালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষাসহ নানা দুর্ভোগে পড়েছেন।
আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। যা চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক মোহাম্মদ মুছা।
ধর্মঘটের সপক্ষে তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- সড়ক ও উপসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, সড়কে শৃঙ্খলা আনায়ন, বিআরটিএ’র অনুমোদন ব্যতীত মিনি বাস চ্যাসিসকে লোকাল গ্যারেজে করে দ্বিতল বাসে রূপান্তর করে স্লিপার কোচ নাম দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ অপ্রশস্ত রোডে চলাচল নিষিদ্ধ করা, বহিরাগত এসি/নন এসি বাস রুট পারমিটের শর্ত ভঙ্গ করে লোকাল রুটের যাত্রী বহনের কারণে গাড়িতে গাড়িতে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ করা, সড়ক-মহাসড়ক-উপ সড়কের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির জন্য দায়ী ইজিবাইক, ব্যাটারি রিকশা, টমটম ও অবৈধ থ্রি হুইলার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা, হাইওয়ের আইন মোতাবেক রাস্তার উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা সহ হাট-বাজার সরিয়ে নেয়া, একই দেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামে একই ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ জরিমানার বৈষম্য দূরীকরণ, চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট আঞ্চলিক বাস টার্মিনাল সংস্কার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ, খোলা ট্রাকে লবণ পরিবহন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, রিকুইজিশানের মাধ্যমে ২ জেলায় রুট পারমিটধারী বাস মিনিবাস কোচ গাড়ি দেশের প্রত্যন্ত এলাকা ও উপজেলায় পাঠানোর নামে রিকুইজিশান বাণিজ্য বন্ধ, কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ অবিলম্বে পরিষ্কার করা।
এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম-দক্ষিণাঞ্চল-কক্সবাজার-বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁয় কার্যনির্বাহী পরিষদ, উপদেষ্টা ও পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এক প্রস্তাবে সকল ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সতর্ক থাকা, ধর্মঘট চলাকালীন সড়ক ও উপসড়কে কোনো ধরনের পিকেটিং, হঠকারি কাজের সাথে যুক্ত না হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী মাসুদ বলেন, আমরা কক্সবাজার থেকে আসছি মৌচাক এলাকায় পুলিশ অন্যান্য গাড়ির মতো আমাদের গাড়িও থামিয়ে চেক করেছেন। তবে আমাদের গাড়ি থেকে কাউকে আটক করেনি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নাশকতার উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি যানবাহনে বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করছে কি না সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের এ ধরনের তল্লাশি চলবে।