এম এম আল মামুন কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম সদর ঘোগাদহ ইউনিয়নের চৈতার খামার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় অনেক ত্যাগ উপেক্ষা করে দীর্ঘ ২০ বছর পর এমপিওভুক্তি হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবক, এলাকাবাসীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদসহ কৃতজ্ঞা জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার ঘোগাদগ ইউনিয়নের চৈতার খামার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০০৩ সালে শিক্ষানুরাগী মোঃ বেলাল উদ্দিন মাস্টার নেতিয়ে পড়া ও ঝড়ে পড়া ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার আলোয় প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করে সৃষ্টিলগ্ন থেকে কর্মরত শিক্ষকরা বিনা বেতনে থেকে যথাবিথি মফস্বল অঞ্চলের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিকাশ প্রসারে বিনা বেতনে পাঠদান করাসহ বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। শিক্ষার্থীরা আধুনিক পাঠদানে লেখাপড়ায় মেধাবী চৌকস ও সৃজনশীল হয়ে ওঠার পাশাপাশি ক্রীড়া ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছে পারদর্শী। সৃষ্টিলগ্ন থেকে সাফল্য ও মেধা তালিকার শীর্ষে চৈতার খামার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি।
প্রধান শিক্ষক মোঃ বেলাল উদ্দিন মাস্টার ও সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুল মালেক মাস্টার চেয়ারম্যান ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদ তারই প্রচেস্টায় প্রতিষ্ঠানটি পাঠদানের অনুমতি পান ২০০৪ সালে, এমাডেমিক শিকৃতীপান ২০১১ সালে। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৭ জন শিক্ষক ও ২ জন কর্মচারী দীর্ঘ ২০ বছর বেতন ভাতা না পেয়েও শিক্ষার্থীদের যথারিতি পাঠদান করে ফলাফলে সফলতা অর্জন করেছেন। প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ১৪৭ জন। ২০২২ সালে জেএসসি পরীক্ষার্থী ২৫ জন রেজিষ্টেশন করে ২৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। ১৭ অক্টোবর সারাদেশের ন্যায় চৈতার খামার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত হয়।
শিক্ষার্থীরা জানায় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি হওয়ায় আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
সহকারী শিক্ষকরা বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর পর এমপিওভুক্তি হওয়ায় আমরা অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্ত পেলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ সহ কৃতজ্ঞা জানাই।
শিক্ষানুরাগী বেলাল উদ্দিন মাস্টার বলেন নেতিয়ে পড়া ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপুমনি কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নেও সার্বিক সহায়তা চেয়েছেন।
সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুল মালেক মাস্টার চেয়ারম্যান ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদ তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করে বিনা বেতনে দীর্ঘদিন ধরে পাঠদান করে আসছেন। তারই ফল হিসেবে এমপিওভুক্ত।
এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।