মোঃ আবদুল্লাহ, ফরিদপুর
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরোচিত, নিষ্ঠুর হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ফরিদপুরের জনতার মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি ফরিদপুরের জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পরে মুজিব সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। উক্ত মিছিলে বিভিন্ন স্থান থেকে শতশত ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন।
যুব উলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা শামসুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, যুব উলামা কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি মাওলানা মনসুর আহমেদ, ইমাম কল্যাণের নির্বাহী সদস্য মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, যুব ও উলামা কল্যাণ পরিষদের সহ সভাপতি মুফতি আসাদুজ্জামান, সহ সভাপতি মুফতি তানভীর আহমেদ প্রমুখ। বক্তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকার জন্য এবং অগ্ৰনী ভূমিকা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
তাঁরা বলেন, যুগের পর যুগ ফিলিস্তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপরে নির্যাতন হলেও জাতিসংঘ এবং “ওআইসি” তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তাদের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা শুধু কথায় কথায় মানবতার বুলি ছুঁড়লেও ফিলিস্তিনি জনগণদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে এই নির্মম অত্যাচারের কথা স্বীকার করতে লজ্জাবোধ করে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ঋৃষি সুনাক মতো আন্তর্জাতিক গনমান্য ব্যক্তিত্ত ইসরাইলের সমর্থন করায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে। তারা আরো বলেন, প্রয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক, আমরা সেখানে গিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে যুদ্ধ করবো। পরিশেষে বিক্ষুব্ধ জনতা ইসরাইলের পতাকা পুড়িয়ে দেয়।