মোঃ রিপন শেখ ভাঙ্গা( ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিভিন্ন জাতের বেগুন চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন সম্রাট মাতুব্বর (৩৫)। ভাঙ্গার বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন তিনি দুই মন বেগুন বিক্রি করে থাকেন। প্রতি কেজি বেগুনের মূল্য ৮০থেকে ১০০ টাকা।ভাঙ্গা পৌর সদরের পূর্ব সদরদী গ্রামের বাস্তখোলা এলাকায় তার বেগুন ক্ষেত রয়েছে । তার বেগুন খেতে বারী -১২ ,পারপাল কিং ও ভাঙ্গর নামে তিন ধরনের বেগুন চাষ করেন তিনি।
বারী -১২ বেগুন লাউয়ের মতো দেখতে। তাই এর অন্য নাম লাউ বেগুন।এই বেগুন গুলি ১ কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের হয়ে থাকে। পার পাল কিং বেগুন বেগুনি কালারের হয়। এগুলো বেশ লম্বা হয়। অন্যদিকে ভাঙ্গড় বেগুন সবুজ রংয়ের। এগুলো ৫০০গ্রাম থেকে ৭৫০গ্রাম পর্যন্ত ওজনের হয়ে থাকে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সম্রাট প্রায় দুই বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। প্রায় তিন হাজার বেগুন গাছে ঝুলছে বেগুন আর বেগুন। তিনি বলেন, প্রতিদিন ভাঙ্গা বাজারে দুই বেলা তিনি দুই মনের বেশি বেগুন বিক্রি করে থাকেন। বারী-১২ জাতের বেগুনগুলো একশত টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।তিনি বলেন, আমার উৎপাদিত বেগুনের মধ্যে বাড( ১২ যাতে বেগুন এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
প্রতিদিন পাইকাররা এসে আমার এর থেকে বেগুননিয়ে যান। এছাড়া আমি প্রতিদিন বিকেলে ভাঙ্গা বাজারে এবং সকালে ভাঙ্গা কোটপার কাঁচা বাজারে বেগুন বিক্রি করে থাকি। বিগত তিন বছর পূর্বে তিনি বেগুনের খেত শুরু করেন। তিনি বলেন, অগ্রহায়ণ মাসে কৃষি অফিস থেকে বীজের তারা তৈরি করে আমি বেগুনের চাষ করে থাকি।
ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিস আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেভ। বেগুন চাষ সম্পর্কে তিনি বলেন, গোবর সার এবং জৈব সার মিশিয়ে আমি খেতে প্রয়োগ করি। তবে কিছু ইউরিয়া দিয়ে থাকি। আমার নিজস্ব সেচ মেশিন রয়েছে। জৈব সার আমার গরুর খামার থেকে নিয়ে আসা হয়। তিনি আরো বলেন, বেগুন উৎপাদনে আমার খরচ খুব কম। মাঝে মাঝে সার দিতে হয় এবং কীটনাশক ঔষধ ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া বেগুন চাষে তেমন কোন খরচ নেই।
সাফল্যের কারণ জিজ্ঞেস করলে সম্রাট মাতুব্বর জানান, আমি চ্যানেল আইয়ের শাইখ সিরাজ পরিচালিত মাটি ও মানুষ এবং বাংলাভিশনের শ্যামল বাংলা অনুষ্ঠান দেখে বেগুন চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছি।এ ছাড়াও এগ্রো ওয়ানের সামিউল ভাইয়ের কাছে আমি ঋণী।তিনি আমাকে সকল প্রশ্নের সঠিক সমাধান জানিয়েছেন।
বেগুন চাষ করার কারণে আমার সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে । আমি বেকার যুব সমাজকে বলি, তারা যেন আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা পালন করার জন্য এবং নিজেদের স্বচ্ছলতার জন্য এগিয়ে আসে ।