নিজস্ব প্রতিনিধি
ভুট্টা ( Corn) একটি বর্ষজীবী তৃণ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Zea mays। এটি পোয়াসি পরিবারের Zea গণের তৃণ।
ভুট্টা সব পরিবেশে জন্মাতে পারে। এই গাছ ১-২ মিটার লম্বা হয়। দানার জন্য ভুট্টা সংগ্রহের ক্ষেত্রে মোচা চকচক খড়ের রং ধারণ করলে এবং পাতা কিছুটা হলদে হলে সংগ্রহেরউপযুক্ত হয়। এ অবস্থায় মোচা থেকে ছড়ানো বীজের গোড়ায় কালো দাগ দেখা যাবে।
ভুট্টাগাছের মোচা ৭৫-৮০% পরিপক্ক হলে ভুট্টা সংগ্রহ করা যাবে। বীজ হিসেবে মোচার মাঝামাঝি অংশ থেকে বড় ও পুষ্ট দানা সংগ্রহ করতে হবে। ভুট্টা উঠানোর পর জমি থেকে আক্রান্ত গাছ সরিয়ে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
ভুট্টার দানা মানুষের খাদ্য হিসেবে এবং ভুট্টার গাছ ও সবুজ পাতা উন্নত মানের গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবেও এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছ। শুধু পশু, মুরগির খামার ও মাছের চাহিদা মিটানোর জন্যই বছরে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টন ভুট্টা দানা প্রয়োজন।
বেলে দোআশঁ ও দোআশঁ মাটি ভুট্টা চাষের জন্য উপযোগী। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন জমিতে পানি জমে না থাকে। জুমচাষেও ভুট্টার আবাদ হয়। ভুট্টা বাংলাদেশসহ ভারত, আমেরিকা, ইউরোপে জন্মে।
উপকারিতা
১। ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন বি ১ বর্তমান যা নতুন রক্তকোষ তৈরি করতে সাহায্য করে৷ এতে রক্তাল্পতা দূর করে।
২। ভুট্টায় উপস্থিত ভিটামিন এ চুলের হারিয়ে কোমলতা ফিরিয়ে এলে চুলকে আরো উজ্বল ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারে৷
৩। ভুট্টার ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৪। ভুট্টায় ভিটামিন এ, সি ও লাইকোপিন রয়েছে ত্বককে উজ্জ্বল করে ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূরে রাখে।
৫। ভুট্টায় প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে তাই ভুট্টা খেলে কোষ্টকাঠিন্য ভালো হয়।
৬। ভুট্টায় প্রচুর কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি প্রদান করতে সক্ষম।
৭। ভুট্টা খেলে হাইপারটেনশন কমে। কারণ ভুট্টার মধ্যে ফেনল রয়েছে।
৮। ভুট্টা খেলে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে।
১০। ভুট্টা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে।