মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে পল্লী বিদ্যুতের খুটি অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।
১০ জুন সোমবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পূর্ব পারপূগী এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ঐ ব্যক্তির জমিতে বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের পিলার রয়েছে। যার কারনে তিনি ঐ জমিতে ফসল আবাদ করার ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যায় পরেছেন।
জানা যায়, পৌর শহরের মুন্সিপাড়া মহল্লার মো: শামসুল ইসলাম নামে ঐ ব্যক্তি ২০০২ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পারপূগী মৌজার অন্তর্ভুক্ত, জে,এল, নং-১৭৫ এর ১৪ দাগে মোট ৫০ শতক জমি কিনেন। তিনি ভোগ দখল শরু করার পর জমিতে বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুটি পরার কারনে নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হন।
এ অবস্থায় উল্লেখিত জমিতে ভয়-ভয় করে চাষাবাদ করতে হয়। তিনি একাধিকবার ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্বরনাপন্ন হলেও অদ্যাবাধি বিদ্যুতের খুটিগুলি অন্যত্র স্থানান্তরের কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মো: শামসুল ইসলাম বলেন, জমির উপর দিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের তার রয়েছে, এখানে ভয়ে কোন শ্রমিক কাজ করতে চায় না। ফলে চাষাবাদে প্রচুর দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ ছাড়াও দীর্ঘদিন চেষ্টার পর অন্যত্র স্থানান্তর না হওয়ায় জমিটি বিক্রির চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। এ জমি কেউ কিনতে চান না। এ কারণে আমি বিদ্যুতের খুটিগুলি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো: মাহফুজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে জমির মালিক অফিসে আসার পর তাকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
বিদ্যুতের লাইনটি প্রায় ১৯৯০ সাল বা তার আগে জনসাধারকে বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সেটি নির্মান করে। দীর্ঘদিন আগের নির্মিত একটি লাইন এখন হঠাৎ সরাতে চাইলে নিয়ম-নীতিমালা মেনেই করতে হবে। এটা আন্ত উপজেলা বিদ্যুৎ লাইন। এটি স্থানান্তরের জন্য কারিগরি বিবেচনার বিষয় রয়েছে। তাই সকল নিয়ম-কানুন, নিয়ম-নীতি মেনেই অনুমোদনের পর ফি জমা দেওয়ার পরই সম্ভব হতে পারে।